নিউজ ডেস্ক :: সিলেটের দক্ষিণ সুরমা সরকারি কলেজ ক্যাম্পাসে আরিফুল ইসলাম রাহাত খুনের ঘটনায় কোনো মামলা হয়নি। জড়িত কাউকে পুলিশ গ্রেফতারও করতে পারেনি।
আজ শুক্রবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে দক্ষিণ সুরমা থানার ওসি কামরুল হাসান তালুকদার জানান, রাহাত খুনের ঘটনায় তার পরিবার এখনও মামলা করেনি। ঘটনার সাথে জড়িতদের গ্রেফতারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত আছে।
পুলিশ সূত্র জানিয়েছে, এ খুনের সাথে জড়িত দুজনকে চিহ্নিত করা হয়েছে। তবে পুলিশ তাদের নাম প্রকাশ করতে রাজি হয়নি।
সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র বলছে, চিহ্নিত দুজন হলেন সামসুদ্দোহা সাদী (২০) ও তানভীর আহমদ (১৯)। সাদীর বাড়ি দক্ষিণ সুরমার মোগলাবাজার থানা এলাকার সিলাম পশ্চিম পাড়ায়; তার বাবার নাম আব্দুস সালাম। তানভীর একই এলাকার জামাল মিয়ার ছেলে।
এদের মধ্যে সাদী ছাত্রলীগের কর্মী। তিনি সিলেট ছাত্রলীগের কাশ্মীর গ্রুপের সাথে জড়িত বলে জানা গেছে। দক্ষিণ সুরমা কলেজের ২০১৮-১৯ বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন তিনি। কলেজে অধ্যয়নকালীন একবার তাকে বহিষ্কারও করা হয়।
ঘটনার পর সাদী ও তানভীর গা ঢাকা দিয়েছেন বলে জানা গেছে। কাল রাতে তারা বাড়িতেও থাকেননি। তবে পুলিশ প্রযুক্তির সহায়তায় তাদের অবস্থান চিহ্নিত করতে কাজ করছে।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীদের কাছ থেকে জানা গেছে, আরিফুল ইসলাম রাহাত (১৮) প্রাইভেট পড়তে যাওয়ার উদ্দেশে বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বাড়ি থেকে বের হন। এসময় চাচাতো ভাই রাফি তার সঙ্গে মোটরসাইকেলে ছিলেন। যাবার পথে চাচাতো ভাইকে কলেজ গেটে রেখে এক বন্ধুর সাথে দেখা করতে কলেজ ক্যাম্পাসে যান রাহাত। পরে বের হওয়ার সময় দুপুর সোয়া ১২টার দিকে কলেজের মূল গেট থেকে ২০-২৫ গজ ভেতরে সাদী ও তানভীর সিলভার রঙ্গের একটি পালসার মোটরসাইকেলযোগে পেছন থেকে এসে রাহাতকে এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যান। পরে রাহাতকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
রাহাত দক্ষিণ সুরমা উপজেলার পুরাতন তেতলি এলাকার সুরমান আলীর ছেলে ও দক্ষিণ সুরমা কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র।
এ ঘটনায় কলেজে ৩ দিনের জন্য পাঠদান বন্ধের নোটিশ জারি করেছে কর্তৃপক্ষ। তবে পরীক্ষা চলবে। কলেজের অধ্যক্ষ মোহাম্মদ শামসুল ইসলাম বৃহস্পতিবার বিকালে এ তথ্য জানান।