সুনামগঞ্জ ডেস্ক :: সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার বাবুর জাঙ্গালে মাটি ফেলে উচু করায় গুরমা হাওরের ভিতরে শিববাড়ি, গুরমা, ফনা, বাইনচাপড়া, আতনা ও মধ্যনগর উপজেলার উত্তর ও দক্ষিণ বংশীকুন্ডা ইউনিয়নের কয়েকটি হাওরের ফসল রক্ষা করা সম্ভব হয়েছে বলে দাবি স্থানীয়দের।
এরফলে কয়েক হাজার হেক্টর বোরো জমির ফসল রক্ষা করা সম্ভব হয়েছে বলে জানিয়েছেন দক্ষিণ শ্রীপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলী আহমদ মুরাদ। এই জাঙ্গালটি উপজেলা দক্ষিণ শ্রীপুর ইউনিয়ন পরিষদের লামাগাও বাজারের সাথেই অবস্থান।
খোঁজ নিয়ে জানাযায় ,বর্ধিত গুরমা হাওরের ফসলরক্ষা বাঁধ ভেঙ্গে প্রবল বেগে হাওরে পানি প্রবেশের পর হাওরপাড়ের কৃষকরা বাবুর জাঙ্গাল মেরামতের কাজ শুরু করে। গত ১৭দিন ধরে বাঁধেই পড়ে আছেন কৃষকরা। প্রশাসনের সার্বিক সহযোগিতায় দিন রাত এই জাঙ্গালে একটি এসকেভেটর ও একটি জাম্প ট্রাক দিয়ে শ্রমিকরা মাটির কাজ করার পর লামাগাঁও বাজারের পূর্বপাশের বাবুর বাঁধটির শত ভাগ কাজ সম্পন্ন হয়েছে আর কোন সমস্যা হবে না। শনিবার পর্যন্ত বাঁধের কাজ করে পানি আটকানো আছে বলে জানিয়েছেন বাঁধের পাশের বাসিন্দা ও হাওরপাড়ের কৃষকরা।
দুমাল গ্রামের কৃষক রমিজ উদ্দিন বলেন, এই বাঁধটির কারনে গুরমাসহ কয়েকটি হাওরের আর কোন সমস্যা হবে না। এর মধ্যেই হাওরের কৃষকরা তাদের ধান কেটে ফেলতে পারবে।
লামাগাঁও গ্রামের কৃষক বকুল মিয়া বলেন, ৫’শ ফুট দৈর্ঘের বাবুর জাঙ্গালের বাঁধটির কাজ সম্পন্ন করতে প্রায় ৮০ থেকে ৯০জন কৃষক দিনরাত কাজ করে শেষ করতে হয়েছে। বাঁধটি নিরাপদ রাখতে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান সহ আমরা সবাই সর্তক অবস।তানে আছি।
দক্ষিণ শ্রীপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলী আহমদ মুরাদ বলেন, এই জাঙ্গালটিতে নিদ রাত সব সময় আমি আছি। স্থানীয় এলাকাবাসীকে নিয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ রায়হান কবির সহ বাঁধটি রক্ষা করার চেষ্টা অব্যাহত আছে এখনও। বৃষ্টি না হওয়া ও রৌদ উঠায় বাধঁ ভাঙ্গার শংকা কেটেছে। কৃষকরা দ্রুত ধান কাঠে ঐসব হাওরে।
তাহিরপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ রায়হান কবীর বলেন, বাঁধ ভেঙ্গে নোয়াল ও খাউজ্যাউরি হাওরের দিকে পানি প্রবেশ করার পর বাবুর জাঙ্গালটিতে পানির চাপ পরে। বাইনচাপড়া, গুরমা, ফনা, আতনা, শিববাড়ি ও মধ্যনগর উপজেলার দক্ষিণ বংশীকুন্ডা ইউনিয়েনর কয়েকটি হাওর ও ঘাসি নদীর পাড়ের জমিগুলোর ফসল রক্ষা জন্য সাথে সাথে আমি নিজে থেকে কৃষকদের দিয়ে বাঁধটির কাজ সম্পন্ন করার চেষ্টা করছি। এখনও বাঁধটি ঠিকে আছে।