নিউজ ডেস্ক :: ‘ভাইয়া, আমি তোমার খুব কাছের কেউ। কিন্তু পরিচয় দিতে চাচ্ছি না। আমাদের ফ্যামিলিতে অনেক আর্থিক ক্রাইসিস চলতেছে, অভাব যাচ্ছে। আবার কাল বা পরশু ঈদ। আব্বুর হাতেও টাকা নাই। তোমাদের ফিতরা বা যাকাতের কিছু টাকা পাঠালে খুব উপকার হবে। অপেক্ষায় রইলাম। ০১৬১৬***৬৩৫ বিকাশ/নগদ নম্বর।’
সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলায় ঈদের আগে একাধিক ব্যক্তির সেলফোনে এমন ক্ষুদে বার্তা পাঠিয়েছে প্রতারক চক্র। আবার অনেকের নাম উল্লেখ করেও দেওয়া হয় বার্তা। সোশ্যাল মিডিয়াতেও প্রচার করা হয় মিথ্যে সাহায্য চাওয়ার এমন আবেদন।
মানবিক আবেদন পাঠিয়ে মানুষের আবেগের সঙ্গে প্রতারণা করে অর্থ হাতিয়ে নেয় প্রতারকরা। ঈদুল ফিতরকে কেন্দ্র করে অভিনব কায়দায় প্রতারণায় মেতে উঠে তারা। সরল বিশ্বাসে তাদের ফাঁদে পা দিয়ে প্রতারণার শিকার হয়েছেন অনেকেই।
জানা যায়, সাহায্য চেয়ে পাঠানো ক্ষুদে বার্তাগুলো প্রায় একই রকমভাবে লেখা। স্বল্প শব্দে বাংলার সাথে ইংরেজি শব্দ যোগ করে গুছিয়ে তৈরি করা। যাতে বার্তাটি পড়লে সহজে যে কারোরই সহানুভূতি জাগে। সব শেষে যোগ করে দেওয়া হয় একটি বিকাশ/নগদ নম্বর। যে নম্বর থেকে বার্তাটি পাঠানো সেটিও বিকাশ/নগদে টাকা পাঠানোর জন্যে দেয়া দুটিই ভিন্ন নম্বর। প্রতারকের দেওয়া একাধিক নম্বরে টানা দু’দিন চেষ্টা করে কোনভাবেই যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। হয়তো বন্ধ পাওয়া যায়, না হয় ব্যস্ত করে রাখা।
প্রতারণার শিকার এক ব্যবসায়ী বলেন, আমার নিজের নাম সম্বোধন করে সাহায্যের একটি বার্তা সেলফোনে আসে। যেহেতু সাহায্য প্রার্থীর আমার নাম জানা, সেহেতু বিষয়টি আমি সত্য ধরে নেই। যাচাই-বাচাই না করে, সরল বিশ্বাসে টাকা পাঠাই। পরে দেখি নাম পরিবর্তন করে এই একই বার্তা আরও অনেকের কাছে আসে। একপর্যায়ে আমি দু’টি নম্বরেই যোগাযোগ করে ব্যর্থ হই।
এ বিষয়ে কথা হলে বিশ্বনাথ পুলিশ স্টেশনের অফিসার ইনচার্জ গাজী আতাউর রহমান বলেন, বিভিন্ন উপলক্ষ সামনে রেখে প্রতারণার কৌশল পাল্টায় প্রতারক চক্র। এটি তাদেরই কাজ। সবাইকে আরও সচেতন হতে হবে। কেউ যেন তাদের পাতানো ফাঁদে পা না দেন। আর এসব বিষয়ে আমাদের কাছে কেউ অভিযোগ করলে আমরা ব্যবস্থা নেব।