শিরোনাম :
শহীদ জিয়ার নেতৃত্বে এই দেশ সর্বক্ষেত্রে স্বংয়ন সম্পন্নতা অর্জন করে-বিপ্লব ও সংহতি দিবসের সমাবেশে খন্দকার মুক্তাদির সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা না হওয়া পর্যন্ত আমরা থামবো না-ডাঃ শফিকুর রহমান স্কলার্সহোম মেজরটিলা কলেজে নবীন বরণ অনুষ্ঠান ২০২৫ অনুষ্ঠিত আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন শান্তিপূর্ণ করতে প্রস্তুত এসএমপি: কমিশনার বিএনপি প্রার্থীর প্রচারণায় গুলির ঘটনায় সরকারের নিন্দা ২৩ ও ২৪নং ওয়ার্ডে মতবিনিময়কালে খন্দকার মুক্তাদির অবশেষে সিলেট-৪ আসনে বিএনপির প্রার্থী আরিফুল হক চৌধুরী সুযোগ পেলে জীবনের শেষ সময়গুলো জনগণের খেদমতে উৎসর্গ করতে চাই-মাওলানা উবায়দুল্লাহ ফারুক বিশ্ব নিম্বার্ক পরিষদ আয়োজিত আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত সিলেট মহানগর ১নং ওয়ার্ড জামায়াতের কর্মী-সুধী সমাবেশ

সুনামগঞ্জে টানা বৃষ্টিতে ধান নিয়ে বিপাকে কৃষক

রিপোর্টার নামঃ
  • শনিবার, ২১ মে, ২০২২
  • ১৫৪ বার পড়া হয়েছে

নিউজ ডেস্ক :: বিগত কয়েকদিনের টানা বৃষ্টিতে ঘরে তোলা ভেজা ধান নিয়ে বিপাকে পড়েছেন সুনামগঞ্জের মধ্যনগর উপজেলার কৃষকরা। বোরো ধান মাড়াইয়ের এ ভরা মৌসুমে একদিকে হাওরের পানি, অন্যদিকে বাড়িতে ওঠানো ভেজা ধান নিয়ে উভয় সংকটে পড়েছেন তারা। এর ফলে ধান ধান শুকাতে না পেরে উদ্বেগ আর উৎকণ্ঠা নিয়ে দিন পার করছেন চাষিরা।

বংশীকুণ্ডা দক্ষিণ ইউনিয়নের মোহাম্মদ আলীপুর গ্রামের কৃষক আব্দুল হাই বলেন, ‘কয়েকদিন আগে হাওরের বাঁধ ভেঙে পানির নিচে তলিয়ে গেছে আমার ৩ কেয়ার জমির বোরো ফসল।তরিঘরি করে যে ধানগুলো কেটেছিলাম টানা বৃষ্টি পাতের কারণে সেগুলো মাড়াই দিয়ে শুকাতে পারছি না। এই অবস্থার কারণে ধানের আঁড়েই অঙ্কুর গজিয়েছে। এ কারণে আমরা চিন্তায় আছি।

 

মির্জাপুর গ্রামের কৃষক মো. কিবরিয়া বলেন, হাওরে পানি ঢোকার সাথে সাথে ৮ কেয়ার জমির মধ্যে ৫ কেয়ার জমির ধান কেটেছিলাম। মাড়াই করে রোদ না থাকায় ধানগুলো শুকাতে পারছি না। যার ফলে আমাদের গ্রামের সকল কৃষক আর্থিকভাবে মারাত্মক ক্ষতির মুখে পড়েছি।

হামিদপুর গ্রামের কৃষক টিটন মিয়া বলেন, আমরা ধান নিয়ে এমন বিপাকে পড়েছি। কোথাও শুকানোর মতো জায়গা পাচ্ছি না। রাস্তা যার যার মতো দখল নিয়ে সবাই ধান শুকানোও চেষ্টা করছে। এই বছর আমরা ধান চাষ করে আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছি।

বংশীকুণ্ডা দক্ষিণ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান রাসেল আহমদ বলেন, যেহেতু আমাদের অঞ্চল পানিতে নিমজ্জিত হয়ে যাচ্ছে। তাই আমাদের কৃষকের ধান শুকানোর জন্য বিকল্প ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। সামনে বন্যা পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ আকার ধারণ করতে পারে। তাই আমাদের সচেতন থাকতে হবে।

 

ধর্মপাশা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. নাজমুল ইসলাম বলেন, প্রতিনিয়তই আমরা কৃষকদের অবস্থা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানাচ্ছি। যেসব ধানের জমিগুলো ডোবে যাচ্ছে সেগুলো যাতে তাড়াতাড়ি কর্তন করা হয় সে ব্যাপারে পরামর্শ দিচ্ছি।

আরো সংবাদ পড়ুন
© All rights reserved © 2021 Anushondhan News
Developed by Host for Domain