হবিগঞ্জ :: হবিগঞ্জ জেলার চুনারুঘাটে গলায় ওড়না পেঁচানো ঝুলন্ত স্বামী-স্ত্রীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহতরা হলেন- জেলার চুনারুঘাট উপজেলার দক্ষিণ নরপতি প্রকাশ কোনাপাড়া গ্রামের আবুল হোসেনের ছেলে রিকশা চালক আব্দুর রউফ (৩৫) ও তার স্ত্রী সৌদি আরব প্রবাসী আলেয়া আক্তার (৩০)।
শুক্রবার (৫ নভেম্বর) বেলা ১১টায় চুনারুঘাট থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে নিহতদের মরদেহ উদ্ধার করে। চুনারুঘাট থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আলী আশরাফ মরদেহ উদ্ধারের সত্যতা নিশ্চিত করেন। এর আগে বৃহস্পতিবার দিবাগত গভীর রাতে তাদের মৃত্যু হয় হয়।
স্থানীয়রা জানান- প্রায় ১২ বছর পূর্বে আব্দুর রউফ ও আলেয়ার বিয়ে হয়। তাদের দাম্পত্য জীবনে রায়হান (১০), ফরহাদ (৪) বয়সের দুইটি ছেলে সন্তান রয়েছে। তারা ফসলি জমির মাঝখানে বাড়ি করে বসবাস করে আসছিলেন।
শিশুপুত্র রায়হান জানায়, তার পিতা আব্দুর রউফ একজন রিকশা চালক ও তার মা সৌদি আরব প্রবাসী। মাসখানেক পূর্বে তিনি দেশে আসেন। বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ১ টায় তার বাবা ও মা খাওয়া দাওয়া করে একরুমে ঘুমিয়ে পড়েন। আর সে একই ঘরের পাশের রুমে ঘুমে ছিল। সকালে উঠে দেখতে পায় তার মা-বাবা ঘরের তীরের সাথে ওড়না পেছানো গলায় ফাঁস দেয়া অবস্থায় ঝুলছিল। পরে থানায় খবর দেয় স্থানীয়রা।
এ খবর পেয়ে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আব্দুল কাদির লস্কর, সহকারী পুলিশ সুপার (মাধবপুর সার্কেল) মহসিন আল মুরাদ, চুনারুঘাট থানার ওসি মোঃ আলী আশরাফ, ইন্সপেক্টর (তদন্ত) চম্পক দাম, সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো: কাউছার বাহারসহ একদল পুলিশ ঘটনায় পরিদর্শন করেন।
আব্দুর রউফের মা মনোয়ারা বেগমের দাবি তার ছেলে ও ছেলের বউকে হত্যা করে ফাঁস লাগানো হয়েছে। তিনি এ হত্যাকান্ডের বিচার চান।
চুনারুঘাট থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ আলী আশরাফ জানান, নিহতদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এছাড়া হবিগঞ্জের পিবিআই’র একটি দল ঘটনাস্থলে এসে প্রয়োজনীয় আলামত সংগ্রহ করেছে।