অনুসন্ধান নিউজ:: সিলেটের ওসনামনী নগরের লন্ডন প্রবাসী নারীর একটি বাসা ঘিরে দ্বন্দ্বের কারণে পুলিশ ১৫৪ ধারা জারি করেছে। উপজেলার তাজপুর ইউনিয়নের গয়াছপুরের লন্ডন প্রবাসী নারী মোছা. মিনা বিবির বাসায় এই সতর্কীকরণ নোটিশ জারি করে পুলিশ। এ নিয়ে ওই এলাকার মানুষের মধ্যে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, গত কিছুদিন ধরে ওসমানী নগরের তাজপুরের গয়াছপুর গ্রামের মোছা. মিনা বিবির বাসা নিয়ে দ্বন্দের সৃষ্টি হয়েছে। মিনা বিবি লন্ডনে থাকেন। তার স্বামী রাজু আহমদ মিনা বিবির নিজ নামীয় বাসাটি বিক্রি করেন একই উপজেলার কাদিপুর গ্রামের দুবাই প্রবাসী মো. নেফুর আলীর স্ত্রী নাজমিন আক্তার মনির কাছে। এ নিয়ে দুই প্রবাসী নারীর মধ্যে বিরোধ চলে আসছে। তাই পুলিশ শান্তি শৃঙ্খলা রক্ষার্থে ওই বাসায় ১৫৪ ধারা জারি করে। বর্তমানে লন্ডন প্রবাসী মিনা বিবি বাসার ভিতরে অবস্থান করছেন। তবে, বাসাটি তালাবদ্ধ পাওয়া গেছে।
লন্ডন প্রবাসী মোছা. মিনা বিবি বলেন, এই বাসাটির জায়গাসহ মালিকানা আমার নামে। অন্য কেউ বাসাটি কেনাবেচা করতে পারেন না। আমি লন্ডন থেকে এসে বাসায় উঠেছি। কিন্তু নাজমিন আক্তার মনি ও তার লোকজন মিলে আমাকে তালাবদ্ধ করে রেখেছে। বাইরে কিছু ছেলেপেলেও ওৎ পেতে আছে। আমি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। এ বিষয়ে আমি থানায় একটি জিডি করেছি’।
দুবাই প্রবাসী নাজমিন আক্তার মনি বলেন, মিনা বিবির স্বামীর রাজু আহমদ পাওয়ার অব এটর্নির মাধ্যমে বাসাটি আমাদের কাছে বিক্রি করেছেন। আমাদেরকে মিনা বিবি তার লোকজন দিয়ে বাসা থেকে বের করে দিয়েছেন। এ বিষয়ে আমি পুলিশের কাছে অভিযোগ করেছি।’
স্থানীয় তাজপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ঝলক পাল বলেন,‘ একটি বাসা, মালিকানা দাবি করছেন দুই প্রবাসী নারী। তবে ঘটনাস্থল পরিদর্শনে গিয়ে আমরা জেনেছি বাসাটির দলিলমূলে মালিক লন্ডন প্রবাসী মিনা বিবি। কিন্তু তার স্বামী রাজু আহমদ একটি পাওয়ার অব এটর্নি দিয়ে বাসাটি করেছেন দুবাই প্রবাসী নাজমিন আক্তার মনির কাছে। এ নিয়ে তাদের মধ্যে বিরোধ দেখা দেয়। ’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সিলেটের ওসমানী নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাঈন উদ্দিন বলেন,‘ প্রাথমিকভাবে জানতে পেরেছি, বাসাটির মালিকানা নিয়ে দুই প্রবাসী নারীর মধ্যে বিরোধ দেখা দিয়েছে। শান্তি শৃঙ্খলা ভঙ্গ হওয়ার আশঙ্কায় ১৫৪ ধারা জারি করেছে পুলিশ। বাসার ভিতরে ছিলেন লন্ডন প্রবাসী নারী । তাকেও উদ্ধার করে বাসার চাবি আপাতত পুলিশ হেফাজতে রয়েছে।