অনুসন্ধান নিউজ:: সুনামগঞ্জে কলেজ ছাত্রীকে যৌন হয়রানির অভিযোগে এক যুবককে আটক করেছে র্যাব। আটক যুবকের নাম মানিক মিয়া। শুক্রবার সকালে প্রাইভেট পড়াতে যাওয়া এক কলেজ ছাত্রীর সামনে দাঁড়িয়ে অশ্লীল কর্মকান্ড করার অভিযোগ ওঠেছে মানিকের বিরুদ্ধে। এসময় ভয়ে মেয়েটি গিয়ে পাশের একটি বাসায় আশ্রয় নেয়। পরে স্থানীয়রা বের হলে ওই যুবক পালিয়ে যায়। ঘটনাটি জানার পর সিসি ক্যামেরার ফুটেজের সাহায্যে কিছুক্ষণের মধ্যেই পৌর শহর থেকে মানিক মিয়া (২৬) নামের ওই যুবককে আটক করে র্যাব।
ঘটনাটি ঘটেছে সুনামগঞ্জ পৌর শহরের শান্তিবাগ এলাকায়। শুক্রবার (২২ জুলাই) সকাল ৭ টার দিকে এই ঘটনা ঘটে। আটককৃত যুবক মানিক মিয়া তাহিরপুর উপজেলার দক্ষিণ কুল গ্রামের গুলেনুরের ছেলে। তিনি সুনামগঞ্জ পৌর শহরে বাসা ভাড়া নিয়ে থাকে। মানিক পেশায় ব্যাটারিচালিত রিক্সাচালক।
সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, ভীতসন্ত্রস্ত্র একটি মেয়ে সড়কের একপাশে দাঁড়িয়ে আছে। এসময় একটি ছেলে এসে মেয়ের স্পর্শকাতর জায়গা স্পর্শ করে। এরপর একটু সামনে গিয়ে প্যান্টের চেইন খুলে অশ্লীল কাজ করতে থাকে। আরেকটি ভিডিওতে তাকে দৌঁড়ে পালাতে দেখা যায়।
আটকের ঘটনা নিশ্চিত করে র্যাব-৯ সুনামগঞ্জ ক্যাম্পের অধিনায়ক লে.কর্ণেল সিঞ্চন আহমেদ জানান, নারী ও শিশুদের নিরাপদ আবাসস্থল গড়ে তোলার জন্য নিরলস কাজ করে যাচ্ছে র্যাব। এর ধারাবাহিকতায় সুনামগঞ্জে কলেজ পড়ুয়া ছাত্রীকে যৌন হয়রানির খবর পেয়ে সিসিটিভি ফুটেজ দেখে আসামি শনাক্ত করে গ্রেফতার করা হয়েছে। আসামীকে পুলিশের কাছে হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার সকাল ৭টার দিকে নিজ বাসা থেকে একই এলাকার আরেকটি বাসায় প্রাইভেট পড়াতে যাওয়ার সময় শহরের মরাটিলা রোডে মানিক মিয়া নামের যুবক তার পিছু নেয়। এসময় যুবকটি মেয়ের শরীরের স্পর্শকাতর অংশে হাত দেয়। কিছুক্ষণ পর তার সামনে গিয়ে প্যান্টের চেইন খুলে অশ্লীল অঙ্গভঙ্গি করতে থাকে। সম্ভ্রম বাঁচাতে পরে পাশের একটি বাসায় আশ্রয় নিয়ে বাসার মানুষকে জানালে ঐ যুবক পালিয়ে যায়। সারাদিন চুপ থাকলেও স্থানীয়দের সহায়তায় রাতে ঘটনাটির সিসি ফুটেজ সহ মামলা দায়ের করে।
সুনামগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইখতিয়ার উদ্দিন মামলার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, মেয়ে নিজে বাদি হয়ে মামলা করেছে। আসামি র্যাব হেফাজতে আছে। তাকে পুলিশের মাধ্যমে কোর্টে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হচ্ছে।