অনুসন্ধান নিউজ :: বিএনপির চেয়ারপার্সনের উপদেষ্ঠা খন্দকার আব্দুল মুক্তাদির বলেছেন, দেশে আইন নেই, কোনো সুশাসন নেই, মানুষের বাক স্বাধীনতা নেই। আওয়ামীলীগ জোর করে ক্ষমতায় টিকে থাকতে গণতন্ত্রকে গলাটিপে হত্যা করেছে। বিএনপির শান্তিপূর্ণ কর্মসূচী চলাকালে আওয়ামীলীগের সন্ত্রাসী বাহিনী ও পুলিশ বর্বরোচিত হামলা করছে, পাখির মত গুলিকরে মানুষ হত্যা করছে। সরকার লুটপাট করে, দুর্নীতি করে যে অর্থনৈতিক সংকট সৃষ্টি করেছে, এটাকে আর সচল করা সম্ভব নয়। আওয়ামীলীগ আজ জনবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে, তাই তারা এখন মারমূখি হয়ে উঠেছে। দেশকে এই সংকট থেকে রক্ষা করতে সম্মেলিত আন্দোলনের মাধ্যমে আওয়ামীলীগকে ক্ষমতা থেকে বিতাড়িত করতে হবে।
রোববার বিকেলে সিলেট শহরতলীর টুকেরবাজার এলাকায় রাজধানী ঢাকার পল্লবীসহ দেশব্যাপী বিএনপির চলমান আন্দোলন কর্মসূচিতে পুলিশের গুলিবর্ষণ ও আওয়ামী সন্ত্রাসীদের নৃশংস হামলার প্রতিবাদে বিএনপির কেন্দ্রীয় ঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে এবং যুক্তরাজ্য বিএনপির সাধারণ সম্পাদক কয়সর এম আহমদের বাড়িতে হামলার প্রতিবাদেসিলেট জেলা বিএনপি আয়োজিত বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
সিলেট জেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট এমরান আহমদ চৌধুরীর সঞ্চালনায় বিক্ষোভ মিছিল পরবর্তী সমাবেশ অনুষ্টিত হয়।
সভাপতির বক্তব্যে সিলেট জেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরী বলেন, আওয়ামীলীগ জনবিচ্ছিন্ন হয়ে এখন বিএনপির সমাবেশে ও নেতাদের উপর হামলা চালাচ্ছে। ঢাকায় বিএনপির কর্মসূচিতে বিএনপি নেতা তবিথ আউয়াল, কুমিল্লায় বিএনপির ভাই চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বলুর উপর নগ্ন ভাবে হামলা করা হয়েছে। অবৈধ সরকারের প্রধানমন্ত্রী যুক্তরাজ্য সফরকালে যাতে প্রতিবাদ কর্মসূচি না হয় সেজন্য যুক্তরাজ্য বিএনপির সাধারণ সম্পাদক কয়সর এম আহমদের গ্রামের বাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে। সিলেট জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদককে রাতের আধারে বাড়ির দরজা ভেঙ্গে র্যাব তুলে নিয়ে যাওয়ার পর দিনভর নাটকীয়তা শেষে তাকে ভূয়া মামলায় আদালতে সমর্পন করেছে। এই সরকার গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না। আওয়ামীলীগ হাজার হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার করে দেশের অর্থনীতিকে ধ্বংস করে দিয়েছে। মানুষ আজ দু’মোটো ভাতের জন্য জীবনযুদ্ধে কোন ভাবে বেঁচে আছে। তাই এই সরকারে অভিলম্বে পদত্যাগ করে একটি নিরপেক্ষ সরকারের মাধ্যমে জাতীয় নির্বাচন দিতে হবে, মানুষের ভোটাধিকার ফিরিয়ে দিতে হবে।
সিলেট জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট এমরান আহমদ চৌধুরী বলেন, পুলিশ বিএনপির প্রতিপক্ষ নয়। সরকার যখন পুলিশকে ব্যবহার করে, তখন মানবাধিকার লঙ্ঘন করে। বাংলাদেশ থেকে চিরকালের জন্য সহিংসতা বন্ধ করার একটি মাত্র পথ হচ্ছে নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা আবারও চালু করা। বিএনপি ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য রাজনীতি করে না, জনগণের জন্য, এ দেশের মানুষের জন্য রাজনীতি করে। ইনশাআল্লাহ অচিরেই এই বাকশালীদের পতন ঘটিয়ে দেশে জনগনের সরকার প্রতিষ্ঠা করা হবে।
এসময় বক্তব্য রাখেন ও উপস্থিত ছিলেন- সিলেট জেলা বিএনপি নেতা মাহবুবুর রব চৌধুরী ফয়ছল, জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক শামীম আহমদ, সিলেট জেলা বিএনপি নেতা ইশতিয়াক আহমদ সিদ্দিকী, এডভোকেট হাসান আহমদ পাটোয়ারী রিপন,
মামুনুর রশীদ মামুন, মাহবুবুল হক চৌধুরী, হাজী সাহাব উদ্দিন, আবুল কাসেম, একেএম তারেক কালাম, কামরুল হাসান শাহিন, শহিদ আহমদ চেয়ারম্যান, কোহিনূর আহমদ, আজিজুর রহমান আজিজ, আলী আকবর, তাজরুল ইসলাম তাজুল, নুরুল আলম সিদ্দিকী খালেদ, এডভোকেট মুমিনুল ইসলাম মোমিন, সুরমান আলী, আব্দুর রহমান, ইসলাম উদ্দিন, কছির উদ্দিন, এডভোকেট আল আসলাম মুমিন, আল মামুন, রফিকুল ইসলাম শাহপরান, আনোয়ার হোসেন মানিক, এডভোকেট সাইদ আহমদ, শাকিল মোরশেদ, আফম কামাল, সাহেদ আহমদ চমন, অর্জুন ঘোষ, আহাদ চৌধুরী শামীম, আখতার হোসেন রাজু, লোকমান আহমদ, আং রহমান, আহমদ আলী, বাদশাহ আহমদ, জসীম উদ্দিন, রফিকুল ইসলাম, আব্দুল খালিক, জাহেদ আহমদ, আকবর আলী, বদরুল ইসলাম জয়দু, আব্দুল মালেক, মাহবুব আলম, মনিরুল ইসলাম তোরন, এডভোকেট ওবায়দুর রহমান ফাহমী, শামসুর রহমান শামীম, দেওয়ান জাকির হোসেন খান, আজিজ হোসেন আজিজ, আলতাফ হোসেন সুমন, সুদিপ জ্যোতি এষ, দেলোয়ার হোসেন দিনার, আবুল হাসনাত, আইনুল হক, আমিনুর রহমান আমিন, সুমেল আহমদ চৌধুরী প্রমূখ।