নিউজ ডেস্ক :: জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবসে সব নেতাকর্মী ও সকল রাজনৈতিক দলের ঐক্যের মাধ্যমে ফ্যাসিস্ট ও স্বৈরাচার আওয়ামী লীগ সরকারকে হটিয়ে দেশে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার ও আইনের শাসন কায়েম করার শপথ নিয়েছেন বলে জানিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। আজ রোববার জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে শেরেবাংলা নগরে জিয়াউর রহমানের সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও তার রুহের মাগফেরাত কামনার পর সাংবাদিকদের তিনি একথা জানান।
ঐতিহাসিক জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে দলের সিনিয়র ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীদের নিয়ে জিয়াউর রহমানের সমাধি প্রাঙ্গণে আসেন বিএনপি মহাসচিব। এ সময় জিয়া পরিবার ও দেশের সমৃদ্ধি কামনা এবং করোনার হাত থেকে রক্ষার জন্য বিশেষ মোনাজাত করা হয়।
বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস আমাদের জাতীয় জীবনে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। যা দেশের ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে। এদিনে আমরা দ্বিতীয়বারের মতো স্বাধীনতা পেয়েছিলাম। যেভাবে আমরা একাত্তরের চেতনা ও আকাঙ্খাকে নিয়ে যুদ্ধ করেছিলাম। সেভাবেই ৭ নভেম্বর আমাদের সিপাহী জনতা সংহতি প্রকাশ করেছিল। এরপরই দেশে গণতন্ত্র, সংবাদপত্রের স্বাধীনতা, মুক্তবাজার অর্থনীতি প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল।’
তিনি বলেন, ‘স্বাধীনতার ৫০ বছরে এসে দেশের সব প্রতিষ্ঠানকে নির্মমভাবে ধ্বংস করেছে স্বৈরাচার ও ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ। মানুষের বাক স্বাধীনতা নেই, গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নেই ও গণতন্ত্র নেই। ফ্যাসিস্ট শাসন কায়েম করেছে এই সরকার।’
দলীয় নেতাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দেওয়া প্রসঙ্গে ফখরুল বলেন, ‘বেগম খালেদা জিয়াকে মিথ্যা মামলায় সাজা দিয়ে কারাবন্দি করেছে। তারেক রহমানের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দেওয়া হয়েছে। এমনকি দলের সাধারণ নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধেও মিথ্যা মামলা দিয়েছে।’
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন- বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, নজরুল ইসলাম খান, ঢাকা দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আব্দুস সালাম, ঢাকা উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমান, বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হাবিবুর রহমান হাবিব, কেন্দ্রীয় নেতা খায়রুল কবির খোকন, আমিনুল হক, অ্যাডভোকেট আবদুস সালাম আজাদ, মীর নেওয়াজ আলী নেওয়াজ, খন্দকার আবু আশফাক, মহিলা দলের আফরোজা আব্বাস, হেলেন জেরিন খান, যুবদলের সাইফুল আলম নীরব, নূরুল ইসলাম নয়ন, ওলামা দলের মাওলানা শাহ মো. নেছারুল হক, মাওলানা নজরুল ইসলাম, মৎস্যজীবী দলের রফিকুল ইসলাম মাহাতাব, মো. আবদুর রহিম, তাঁতী দলের আবুল কালাম আজাদ, মো. মজিবুর রহমান, জাসাসের চিত্রনায়ক হেলাল খান, জাকির হোসেন রোকন, শ্রমিক দলের আনোয়ার হোসাইন, মঞ্জুরুল ইসলাম মঞ্জুসহ বিভিন্ন অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের শতাধিক নেতাকর্মী।