শিরোনাম :
সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা না হওয়া পর্যন্ত আমরা থামবো না-ডাঃ শফিকুর রহমান স্কলার্সহোম মেজরটিলা কলেজে নবীন বরণ অনুষ্ঠান ২০২৫ অনুষ্ঠিত আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন শান্তিপূর্ণ করতে প্রস্তুত এসএমপি: কমিশনার বিএনপি প্রার্থীর প্রচারণায় গুলির ঘটনায় সরকারের নিন্দা ২৩ ও ২৪নং ওয়ার্ডে মতবিনিময়কালে খন্দকার মুক্তাদির অবশেষে সিলেট-৪ আসনে বিএনপির প্রার্থী আরিফুল হক চৌধুরী সুযোগ পেলে জীবনের শেষ সময়গুলো জনগণের খেদমতে উৎসর্গ করতে চাই-মাওলানা উবায়দুল্লাহ ফারুক বিশ্ব নিম্বার্ক পরিষদ আয়োজিত আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত সিলেট মহানগর ১নং ওয়ার্ড জামায়াতের কর্মী-সুধী সমাবেশ প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের ছায়াতলে মানবিক সংকট বিকল্প কর্মসংস্থানের দাবি শ্রমিকদের

চট্টগ্রামের জাতিগত প্রাচীন সভ্যতা সংরক্ষণের দাবি ইতিহাস গবেষকদের

রিপোর্টার নামঃ
  • বুধবার, ১ ডিসেম্বর, ২০২১
  • ২৪৬ বার পড়া হয়েছে

অনুসন্ধান নিউজ :: চট্টগ্রামে মুসলিম, হিন্দু ও বৌদ্ধ ধর্মীয় ও জাতিগত প্রাচীন সভ্যতার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ নিদর্শনসমূহ প্রত্নসম্পদ হিসেবে সংরক্ষণের দাবি জানিয়েছে চট্টগ্রাম ইতিহাস চর্চা কেন্দ্রের ইতিহাস সম্মিলনে ইতিহাস গবেষকগণ। ২২ নভেম্বর, সোমবার রাতে চট্টগ্রাম নগরীর জিইসির মোড়স্থ দি পেনিন্সুয়ালা চিটাগাং অডিটোরিয়ামে চট্টগ্রাম ইতিহাস সম্মিলনের অনুষ্ঠানে বক্তারা এ দাবি জানান।

সম্মিলনে ইতিহাস গবেষকরা বলেছেন, চট্টগ্রামে সুলতানী ও মুঘল আমলের কমপক্ষে ১৭টি প্রাচীন মসজিদ আছে। এছাড়া সীতাকুন্ডের চন্দ্রনাথ ধাম, কক্সবাজারের আদিনাথ মন্দির, ফটিকছড়ির কাঞ্চন নাথ মন্দির, বোয়ালখালীর কড়লডেঙ্গা মেধস মুনির আশ্রম এবং আনোয়ারার ঐতিহাসিক নরসিংহ মন্দির হিন্দু ধর্মীয় সভ্যতার আড়াই হাজার বছরের প্রাচীন নিদর্শন হিসেবে চট্টগ্রামে রয়েছে। বৌদ্ধ ধর্মীয় প্রাচীন সভ্যতার নিদর্শন হিসেবে পটিয়ার ফরাতরা মন্দির, কক্সবাজারের রামুতে গৌতম বুদ্ধের স্মৃতি বিজড়িত ঐতিহাসিক রাম কোর্ট বৌদ্ধ বিহার এবং বাশঁখালীর ৩টি প্রাচীন বৌদ্ধ বিহার চট্টগ্রামে রয়েছে। ইতিহাস গবেষকরা বলেন, ‘চট্টগ্রামের অসংখ্যা প্রত্নসম্পদ সংরক্ষণের অভাবে নষ্ট হতে চলেছে। এগুলো হারিয়ে গেলে আর কখনো উদ্ধার কিংবা সংরক্ষণ করা সম্বব হবেনা। গবেষকরা অবিলম্বে সরকারী ভাবে জরিপ চালিয়ে প্রাচীন নির্দশন চিহ্নিত করে তা সংরক্ষণের ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের প্রতি আহ্বান জানান।

চট্টগ্রাম ইতিহাস চর্চা কেন্দ্র (সিএইচআরসি) ও ইতিহাস বিষয়ক অনিয়মিত কাগজ কিরাত বাংলার “ইতিহাস ও মনীষী ” বইয়ের প্রকাশনা উৎসব ও ঐতিহাসিক চট্টগ্রাম ইতিহাস সম্মিলন ২০২১ সিএইচআরসির উপদেষ্টা, লেখক ব্যাংকার দুলাল কান্তি বড়ুয়ার সভাপতিত্বে এই সম্মিলনে প্রধান অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য প্রফেসর ড. ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরী। মুখ্য আলোচক ছিলেন বর্ষীয়ান আইনবিদ অ্যাডভোকেট মুকুল কান্তি দেব। উদ্ভোধক ছিলেন লেখক গবেষক লায়ন অধ্যক্ষ ড. মোহাম্মদ সানাউল্লাহ। সিএইচআরসির সভাপতি ও কিরাত বাংলা’র প্রতিষ্ঠাতা ও সম্পাদক ইতিহাস গবেষক সোহেল মো. ফখরুদ-দীন ‘প্রাচীন চট্টগ্রাম ও কিরাত রাজ্যের বিস্তার’ বিষয়ে গবেষনা প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন।

আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন- প্রবীণ শিক্ষাবিদ অধ্যাপক সচ্চিদানন্দ রায় চৌধুরী, বর্ষীয়ান সমাজকর্মী লায়ন রাখাল চন্দ্র বড়ুয়া, বিশিষ্ট লেখক ও গবেষক এডভোকেট মোছাহেব উদ্দিন বখতিয়ার, বিশিষ্ট বৌদ্ধ গবেষক, চিন্তবিদ ড. সংঘপ্রিয় মহাথের, বিশিষ্ট লেখক অধ্যাপক প্রকৌশলী মৃণাল কান্তি বড়ুয়া, ডাবল পোস্ট ডক্টরাল ড. খান মোহাম্মদ সেলিম উদ্দিন, বিশিষ্ট গবেষক এস লোকজিৎ মহাথের, লায়ন ব্যাংকার সিএসকে সিদ্দিকী, পরিবেশবিদ ও সাংবাদিক এ কে এম আবু ইউসুফ, লেখক ও গবেষক পরিব্রাজক মোহাম্মদ আব্দুর রহিম, ইতিহাসবিদ তৌফিকুল ইসলাম চৌধুরী, প্রকৌশলী মৃগাংক প্রসাদ বড়ুয়া, ইতিহাসবিদ অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনুস কুতুবী, কবি ও প্রাবন্ধিক অধ্যাপক জিতেন্দ্রলাল বড়ুয়া, এডভোকেট এহসানুল হক মিলন, লায়ন বরুন কুমার আচার্য্য বলাই, প্রকৌশলী সৌমেন বড়ুয়া, লেখক লায়ন উজ্জ্বল কান্তি বড়ুয়া, মোহাম্মদ হাবীব উল্লাহ, ড. সবুজ বড়ুয়া শুভ, শরফুদ-দীন মো. সাজিদ, শিক্ষাবিদ কবি রিপন চক্রবর্তী, প্রকৌশলী রাহুল বড়ুয়া, এডভোকেট মিথুন দেব রানা, রঞ্জিত চৌধুরী, একরামুল হক, মোহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম, মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম চৌধুরী, কবি দেলোয়ার হোসেন, নয়ন চক্রবর্তী, হ্যাপী দাশ, মুজিবুর রহমান প্রমুখ।

 

আরো সংবাদ পড়ুন
© All rights reserved © 2021 Anushondhan News
Developed by Host for Domain