অনুসন্ধান নিউজ :: প্রাধ্যক্ষের পদত্যাগের জন্য ২৪ ঘন্টার সময়সীমা বেঁধে দিয়ে হলে ফিরে গেছে সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের বেগম সিরাজুন্নেসা চৌধুরী হলের আন্দোলনরত ছাত্রীরা।
শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে উপাচার্যকে সময়সীমা বেঁধে দিয়ে হলে ফিরে তারা। এরআগে বেলা ১২টার দিকে প্রাধ্যক্ষ জাফরিন আহমদ লিজার পদত্যা্গের দাবিতে উপাচার্য কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নেয় শিক্ষার্থীরা।
এদিকে, শিক্ষার্থীরা হলে ফিরে যাওয়ার কিছুক্ষণ পরই সিরাজুন্নেসা হলের বর্তমান সহকারী প্রাধ্যক্ষ যোবাইদা কনক খানকে ভারপ্রাপ্ত প্রাধ্যক্ষের দায়িত্ব প্রদান করেন উপাচার্য।
এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ফরিদ উদ্দিন আহমেদ সন্ধ্যায় বলেন, ওই হলের প্রাধ্যক্ষ জাফরিন লিজা বর্তমানে অসুস্থতা জনিত ছুটিতে আছেন। তাই এখন কাজ চালানোর জন্য নতুন একজনকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো মেনে নেওয়া হবে। তবে এজন্য সময় প্রয়োজন।
খাবারের খারাপ মান, অব্যবস্থাপনা ও দুর্ব্যবহারের অভিযোগে হল প্রাধ্যক্ষ জাফরিন আহমেদ লিজার পদত্যাগের দাবিতে বৃহস্পতিবার মধ্যরাত থেকে আন্দোলনে নামে ছাত্রীরা। রাত ১২টার দিকে উপাচার্যের বাসভবনের সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করেন হলের আবাসিক ছাত্রীরা। এ সময় সহকারী প্রাধ্যক্ষরা শিক্ষার্থীদের হলে ফিরে যেতে বললেও তারা দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার কথা জানান।
পরে রাত আড়াইটার দিকে উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ শিক্ষার্থীদের দাবি মেনে নেয়ার আশ্বাস দেন। এ সময় ছাত্রীরা শুক্রবার দুপুর ১২টার মধ্যে দাবি মেনে নেয়ার সময়সীমা বেঁধে দিয়ে হলে ফিরে যান।
এরপর শুক্রবার ১২টা থেকে উপাচার্যের কার্যালয়ের সামনে ফের অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন তারা। এসময় উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমদ আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের দাবি মেনে নেওয়ার আশ্বাস দিয়ে এক মাস সময় চান। তবে শিক্ষার্থীরা ২৪ ঘন্টার সময় বেঁধে দেয় তাকে।
আন্দোলনরত ছাত্রীরা জানান, আগে থেকেই হল কর্তৃপক্ষের কাছে ডাবলিং নিষিদ্ধ করা, গণরুম না রাখা, অভিভাবকদের প্রবেশের অনুমতি দেয়া, খাবারের মান উন্নত করাসহ বেশ কিছু দাবি উত্থাপন করে আসছিলেন হলের শিক্ষার্থীরা।
তাদের অভিযোগ, বৃহস্পতিবার এ সব নিয়ে তারা প্রাধ্যক্ষের সঙ্গে মোবাইল ফোনে কথা বলার চেষ্টা করেন। তবে তিনি তাদের কথাকে গুরুত্ব না দিয়ে ছাত্রীদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করে হল থেকে বেরিয়ে যেতে বলেন। এরপর প্রাধ্যক্ষের পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলনে নামেন তারা।