অনুসন্ধান নিউজ :: সিলেটে গতকাল রোববার (২০ মার্চ) থেকে বিশেষ কার্ডের মাধ্যমে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি)-এর পণ্য বিক্রি শুরু হয়েছে। আসন্ন পবিত্র রমজান উপলক্ষে সিলেটে সিটি কর্পোরেশনের ১৪টি ওয়ার্ডের ১৮টি স্থানে ও জেলার ১৩টি উপজেলায় ৪৪টি স্থানে পণ্য বিক্রি করছে টিসিবি।
বিশেষ এই ‘ফ্যামিলি কার্ড’র মাধ্যমে দুই ধাপে পুরো বিভাগের ৪ লাখ ৬১ হাজার ৫২১টি পরিবার টিসিবি’র পণ্য কেনার সুবিধা পাচ্ছে। পণ্য বিক্রির ক্ষেত্রে কোনো ধরনের অনিয়মের সত্যতা পেলে কঠোর ব্যবস্থা নিবে জেলা প্রশাসন।
বাজার দামের চেয়ে অনেক কমে এসব নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য কিনতে পেরে খুশি ক্রেতারা। তবে গত দুদিন থেকে টিসিবির পণ্য নিতে এসে বিক্রয়কর্মীদের বিরুদ্ধে অনিয়ম ও স্বজনপ্রীতির অভিযোগ তুলেছেন সুবিধাভোগীরা। বিশেষ করে নারীদের অভিযোগ বেশি। আজ ও গতকাল পণ্য বিক্রির বিভিন্ন পয়েন্ট ঘুরে এ চিত্র দেখা গেছে।
সিলেটে গত দুদিন থেকে সকাল ১০টায় নির্ধারিত স্থানে শুরু হয় টিসিবির পণ্য বিক্রি। দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে বাজারমূল্য থেকে কমে কার্ডধারী নারী-পুরুষ কিনে নেন টিসিবি’র পণ্য। প্রত্যেক ক্রেতা টিসিবির ট্রাক থেকে প্রতি লিটার ১১০ টাকা দামে দুই লিটার সয়াবিন তেল, ৫৫ টাকা কেজি দামে ২ কেজি করে চিনি, প্রতি কেজি ৬৫ টাকা করে দুই কেজি মসুর ডাল কেনার সুযোগ পাচ্ছেন।
তবে অনেক ক্রেতার অভিযোগ- বিক্রয়কর্মী ও স্থানীয় কিছু স্বেচ্ছাসেবী লাইন ভেঙে তাদের পছন্দের লোকজনকে আগে পণ্য দিচ্ছে। আর নারীরা ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থাকতে হয়েছে।
পণ্য বিক্রি তদারকি করা স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা জানান, প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে নির্ধারিত স্থানে কার্ডধারী ক্রেতাদের পণ্য দেয়া হচ্ছে। প্রতিদিন পাঁচশ জন টিসিবির পণ্য পাবেন। পণ্য নিতে আসা লোকজন যাতে হয়রানির শিকার না হন, এ ব্যাপারে খেয়াল রাখা হচ্ছে।
সিলেটে প্রথম দিন বিভিন্ন স্থানে টিসিবির পণ্য বিক্রয় কার্যক্রম পরিদর্শন করেছেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. মনছুরুল আলম ও জেলা প্রশাসক মো. মজিবর রহমান।
আজ সোমবার (২১ মার্চ) সকালে সিলেটের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোহাম্মদ মোবারক হোসেন বলেন, সিলেট জেলা ও সিটি করপোরেশন এলাকা মিলিয়ে টিসিবির পণ্যের জন্য ফ্যামিলি কার্ড পেয়েছে ১ লক্ষ ৩৭ হাজার ৩৬৩ পরিবার। বিক্রয়ের জন্য পর্যাপ্ত পণ্যও রয়েছে টিসিবির গুদামে।
তিনি জানান, এই দুই ধাপে কার্ডধারী ছাড়া টিসিবির পণ্য কাউকে দেয়া হবে না। রমজানের মাঝামাঝি সময়ে বিতরণকৃত তিনটি পণ্যের সাথে ছোলা ও খেজুর যুক্ত হবে।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বিতরণের ক্ষেত্রে অনিয়মের কোনো সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। অপর এক প্রশ্নের জবাবে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক বলেন, এই কার্ডের মাধ্যমে এই দুই ধাপে পণ্য কেনার পর ওই কার্ড আর ব্যবহারযোগ্য কি-না, সে বিষয়ে এখনও সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়নি।