নিউজ ডেস্ক :: প্রেমিক রোহিনী চন্দ্র বর্মন(২৪) তার দুই প্রেমিকা ইতি রানী(২১) এবং মমতা রানী(১৯)কে এক সঙ্গে বিবাহ করে এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছেন। তিন পরিবারের সম্মতিতেই এই ঘটনা ঘটেছে। গত বুধবার ২০ এপ্রিল রাতে পঞ্চগড়ের আটোয়ারী উপজেলার বলরামপুর ইউনিয়নের লক্ষীদ্বার এলাকায় প্রেমিক রনির বাড়িতে আনুষ্ঠানিকভাবে এই চাঞ্চল্যকর বিবাহ সম্পন্ন হয়।
ঘটনা সিনেমাকেও হার মানাবে। অনেকটা বাধ্য হয়েই দুই কণের পরিবার এই বিয়েতে সম্মতি দিয়েছে বলে জানা গেছে। ইতি রানীর (২১) সাথে রোহিনী চন্দ্র বর্মন রনির (২৪) প্রেমের সম্পর্ক দীর্ঘদিনের। প্রেম চলাকালীন একপর্যায়ে তারা গোপনে মন্দিরে গিয়ে বিবাহ করেন । বিয়ের বিষয়টি গোপন রেখেছিলেন দুজনই। গোপন বিয়ের কিছুদিনের মধ্যে নতুন করে রোহিনী চন্দ্র বর্মন রনির প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে মমতা রানী (১৯) নামে আরেক তরুনীর সঙ্গে। প্রেমের সূত্রে মমতা রানির সাথে রাতে দেখা করতে গিয়ে আটকা পড়ে যায় রোহিণী চন্দ্র বর্মন রনি। গত ১৩ এপ্রিল মমতা ও রনির বিয়ের আয়োজন করা হলে খবর পেয়ে পূর্বের স্ত্রী ইতি রানী রনির বাড়িতে এসে অনশন শুরু করেন। এরপর তিন পরিবারের উপস্থিতিতে ঘটা করে পারিবারিকভাবে এক বরের সাথে দুই প্রেমিকার ফের বিয়ে দেওয়া হয়।
জানা যায়, রোহিনী চন্দ্র বর্মন রনি ওই এলাকার যামিনী চন্দ্র বর্মনের ছেলে। প্রথম স্ত্রী ইতি রানী একই ইউনিয়নের গাঠিয়াপাড়া এলাকার গিরিশ চন্দ্রের মেয়ে। দ্বিতীয় স্ত্রী মমতা রানী লক্ষীদ্বার গ্রামের টোনোকিসর রায়ের মেয়ে। এ ঘটনায় তিন পরিবারের কারো কোন অভিযোগ না থাকলেও এলাকায় বেশ চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
এ বিষয়ে রনির বাবা যামিনী চন্দ্র বর্মনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, দুইজনকে একসঙ্গে ঘরে তুলতে আমাদের আপত্তি ছিলোনা। তবে আগের বিয়ের বিষয়ে যেহেতু জানা ছিলোনা, তাই নতুন করে আমি আবার বিয়ের আয়োজন করেছি। ইতি রানীর বাবা গিরিশ চন্দ্র বলেন, আমাদের কোন অভিযোগ নেই। রোহিনীর বাড়িতে আনুষ্ঠানিক বিয়েতে আমরা তিন পরিবারের লোকজনই ছিলাম। বলরামপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেনও ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।