নিউজ ডেস্ক :: মেয়েজামাইয়ের সঙ্গে বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কের মিথ্যা অপবাদ দিয়ে কুলসুম বেওয়া (৭০) নামে এক বৃদ্ধাকে গাছে বেঁধে দুই যুবক নির্যাতন করেছেন। গতকাল মঙ্গলবার আনুমানিক রাত ৮টার দিকে নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলার পমপাথুরিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনার পর অভিযুক্ত দুই যুবক একই এলাকার আলম হোসেনের ছেলে রতন আলী ও উজ্জল হোসেনের ছেলে বকুল হোসেন বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে গেছেন।
নির্যাতনের শিকার বৃদ্ধা কুলসুম বেওয়া ওই এলাকার মৃত সুরত আলীর স্ত্রী। তার চার মেয়ের সবার বিয়ে হয়ে গেছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বৃদ্ধা কুলসুম বেওয়ার মেজো মেয়ে রাহেলা বিয়ের পর থেকে মায়ের বাড়িতেই বসবাস করেন। গতকাল সন্ধ্যার পর সন্তানসম্ভবা ছোট বোনকে হাসপাতালে দেখতে যান রাহেলা। বৃদ্ধা মায়ের জ্বর থাকায় হাসপাতালে যেতে পারেননি।
অন্যদিকে, রাতে রাহেলার স্বামী কাশেম বাড়িতে ফিরে শাশুড়িকে অসুস্থ অবস্থায় দেখে ওষুধ কিনতে বাজারে যান। ওষুধ কিনে বাড়ি ফিরে কাশেম শাশুড়ির ঘরে ঢুকলে বাইরে থেকে প্রতিবেশী রতন ও বকুল চিৎকার-চেঁচামেচি শুরু করেন। তারা জামাইয়ের সঙ্গে কুলসুম বেওয়ার অবৈধ সম্পর্কের মিথ্যা অপবাদ দেন। এক পর্যায়ে তারা কাসেমকে মারধর ও বৃদ্ধা কুলসুমকে টেনেহিঁচড়ে বাইরে এনে গাছের সঙ্গে বেঁধে নির্যাতন চালান।
এ বিষয়ে কান্নাজড়িত কণ্ঠে বৃদ্ধা কুলসুম বলেন, ‘রতন ও বকুল আমাকে টেনেহিঁচড়ে কাঁদাপানির মধ্যে নিয়ে যায়। এরপর একটি ডাবগাছের সঙ্গে আমাকে রশি দিয়ে বেঁধে রাখে এবং মারধর করে। ব্যক্তিগত শত্রুতার কারণে তারা আমাকে মিথ্যা অপবাদ দিয়ে নির্যাতন করেছে।’
গুরুদাসপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আব্দুল মতিন বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে ওই বৃদ্ধা ও তার জামাইকে উদ্ধার করা হয়েছে। ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত দুই যুবক পলাতক রয়েছেন। তাদের ধরতে অভিযান চলছে।