নিউজ ডেস্ক :: বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী ফারদিন নূর পরশ (২৪) রাজধানী ঢাকার কোনো এক এলাকায় খুন হতে পারেন বলে ধারণা প্রকাশ করেছেন গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ।
আজ শনিবার (১২ নভেম্বর) দুপুরে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এমন ধারণার কথা জানান।
ডিবিপ্রধান হারুন বলেন, ফারদিনের মোবাইলের ডেটা অ্যানালাইসিস ও বিভিন্ন জায়গায় সে যার সঙ্গে কথা বলেছে সবকিছু মিলিয়ে আমার কাছে মনে হচ্ছে, ঢাকা শহরের কোনো এক জায়াগায় খুন হতে পারেন তিনি। মোবাইলের লোকেশনে আমরা নারায়ণগঞ্জও পেয়েছি। সবকিছু মিলিয়ে তদন্তের স্বার্থে কংক্রিট কিছু বলতে পারছি না।
তিনি বলেন, আপনারা জানেন, ঢাকা কিংবা ঢাকার বাইরে কোনো ঘটনা ঘটলে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের একাধিক দক্ষ টিম কাজ করে। অনেক সময় লেগেছে এমন ঘটনা এর আগেও অনেক ক্লু উদঘাটন করেছি। নিহতের বাবা প্রথমে একটি জিডি করেছিলেন পরবর্তী সময়ে তিনি মামলা করেন। মামলায় ১ নম্বর আসামি বুশরাকে গ্রেফতার করেছি। পাশাপাশি মামলার এফআইয়ে তার নাম আসায় আমরা মনে করছি না যে সেই দায়ী। তিনি রিমান্ডে এসেছে তার সঙ্গে আমরা কথা বলছি।
মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বলেন, ঢাকা শহরে ফারদিন যেখানে যেখানে গিয়েছিলেন আমরা বিভিন্ন টেকনিক্যাল মাধ্যম ব্যবহার করে খুঁজে বের করেছি। তবে কিংক্রিট কোনো তথ্য বের করতে পারিনি বলে এখনই কিছু বলছি না। তবে আমাদের কাজ চলছে। ডিবির টিম রাত-দিন কাজ করে যাচ্ছে।
মাদকের বিষয়ে খুন হয়েছে কি না, জানতে চাইলে হারুন অর রশীদ বলন, আমরা এই কথা এখনই বলছি না যে সে মাদকের কারণে হয়েছে। অথবা ১ নম্বর আসামি যাকে আমরা গ্রেফতার করেছি সেই খুন করেছে; এটাও আমার বলছি না। পারিপার্শ্বিক বিভিন্ন বিষয় বিচার-বিশ্লেষণ করছি।
ডেমরার চরপাড়া বস্তিতে ডিবির অভিযান চলছে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলন, তদন্তের স্বার্থে শুধু চনপাড়া বস্তি কেন আমরা নারায়ণগঞ্জ গিয়েছি, ডেমরা ও খিলগাঁওসহ সব জায়গায় ডিবির টিম কাজ করছে।
আরেক প্রশ্নের জবাবে হারুন অর রশীদ বলন, ডিবির পক্ষ থেকে আমরা কখনোই বলিনি যে তিনি (ফারদিন) চনপাড়া গিয়ে মাদকের কারণে মারা গেছেন। আমাদের টিম সবগুলো বিষয় নিয়ে কাজ করছে। আসলে কী ঘটনা তা আমরা এখনো বের করতে পারিনি।