অনুসন্ধান নিউজ :: বৈরাগী বাজার উচ্চ বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক বীর মুক্তিযোদ্ধা সুবল চন্দ্র পাল বলেছেন, বাঙালি জাতির শ্রেষ্ঠ অর্জন স্বাধীনতা। সেই স্বাধীনতার সঠিক ইতিহাস নতুন প্রজন্মের কাছে পৌঁছে দিতে হবে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুদৃঢ় নেতৃত্বে এদেশের জনগণ ঐক্যবদ্ধ হয়ে স্বাধীনতার জন্য যুদ্ধ করে। অনেক আত্মত্যাগের বিনিময়ে আমরা অর্জন করি কাঙ্খিত স্বাধীনতা। তিনি বলেন, ১৯৭১ সালের এই দিনে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর কবল থেকে জালালপুর মুক্ত করা হয়েছিলো। তাই এই দিনটিকে স্মরণীয় করে রাখতে সব সময় এ দিবসটি পালন করতে হবে। তিনি বলেন, ৭ই ডিসেম্বর মুক্তিযোদ্ধারা বীরের বেশে জালালপুরে আসতে শুরু করে। অন্যদিকে পরাজয় নিশ্চিত জেনে পালাতে শুরু করে পাকিস্তানি বাহিনীর দোসর আলবদর, রাজাকার, আল-শামস বাহিনীর সদস্যরা।
তিনি (৭ ডিসেম্বর) বুধবার বিকালে সিলেটের দক্ষিণ সুরমায় জালালপুর ইউনিয়ন পরিষদ মাঠে ১৯৭১ সালের ৭ই ডিসেম্বর জালালপুর হানাদার বাহিনী মুক্ত দিবস উপলক্ষে ৭ইং ডিসেম্বর জালালপুর মুক্ত দিবস উদযাপন পরিষদের উদ্যোগে এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপরোক্ত কথাগুলো বলেন।
৭ইং ডিসেম্বর জালালপুর মুক্ত দিবস উদযাপন পরিষদের আহ্বায়ক শেখ ইদ্রিছ আলী তুরণ মিয়ার সভাপতিত্বে ও মুক্ত দিবস উদযাপন পরিষদের সদস্য সচিব জাকারিয়া উল হকের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তার বক্তব্য রাখেন, দক্ষিণ সুরমা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আবু জাহিদ।
বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সিলেট জেলা ইউনিটের সাবেক কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা সুব্রত চক্রবর্তী জুয়েল, বিশিষ্ট সমাজসেবক ও শিক্ষানুরাগী আব্দুল মান্নান, বীর মুক্তিযোদ্ধা রফিকুল হক, দক্ষিণ সুরমা উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মাহবুবুর রহমান, ৭নং জালালপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ওয়েস আহমদ।
অন্যানের্য মধ্যে বক্তব্য রাখেন শহিদুর রহমান শাহিন, এম এ শহিদ পংকী, খোকন মিয়া, নেছারুল হক বুস্তান, ছোরাব আলী, সাংবাদিক খালেদ আহমদ, কওছর আলম, শায়েক আহমদ, শেখ সুহেল, লোকমান আহমদ, বশির মিয়া, ফজির আলী, শফিক আহমদ প্রমুখ। জাতীয় সঙ্গীত পরিচালনা করেন বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন দক্ষিণ সুরমা উপজেলা সংসদরে সদস্যবৃন্দ।