অনুসন্ধান নিউজ :: আসন্ন ঈদ উল ফিতরে স¦বেতনে ছুটিসহ উৎসব ভাতা প্রদানের দাবিতে ১১ এপ্রিল রাত ১০ টায় সিলেট জেলা হোটেল শ্রমিক ইউনিয়নের জেলা কার্যালয়ের সামনে জমায়েত হয়ে এক বিক্ষোভ নগরির বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে ঐতিহাসিক কোর্ট পয়েন্টে এসে জেলা কমিটির সভাপতি মো. ছাদেক মিয়ার সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক আনছার আলীর পরিচালনায় অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন: বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন সংঘ সিলেট জেলার যুগ্ম সম্পাদক রমজান আলী পটু , সিলেট জেলা প্রেস শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি আবুল কালাম আজাদ সরকার, জাতীয় ছাত্রদল এমসি কলেজ শাখার নেতা বদরুল আজাদ, সিলেট জেলা হোটেল শ্রমিক ইউনিয়ন শাহপরান থানা কমিটির সহ-সভাপতি জালাল মিয়া, দক্ষিণ সুরমা উপজেলা কমিটির সভাপতি মনির হোসেন, সহ-সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মুমিন রাজু, তালতলা আঞ্চলিক কমিটির সভাপতি মো. সাহাব উদ্দিন, বন্দরবাজার আঞ্চলিক কমিটির সভাপতি আনোয়ার হোসের, ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক মো. রিপন মিয়া, জেলা কমিটির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ইমান আলী সহ প্রমুখ;
সমাবেশে বক্তারা বলেন: সামনে আসছে মুসলমানদের পবিত্র উৎসব ঈদ উল ফিতর। দেশের সকল মুসলমান ঈদ আনন্দ উৎসবে মেতে উঠলেও দেশের অধিকাংস শ্রমিক শ্রমজীবী মানুষ বিশেষ করে হোটেল সেক্টরে কর্মরত শ্রমিকরা সে আনন্দ থেকে বঞ্চিত হয়ে আসছে। প্রতি বছর ঈদ আসলে বোনাসের জন্য মালিকদের নিকট আবেদন নিবেদন করতে হয় যা শ্রমিকদের আইনি প্রাপ্য অধিকার। শ্রমিকদের আইনি অধিকার নিশ্চিতকরণে সরকারের নির্দিষ্ট প্রতিষ্ঠান চালু থাকলেও তারা নিরব দর্শকের ভূমিকা পালন করে আসছেন, কখনোবা কোনা ভূমিকা গ্রহন করে থাকলে তা মালিকদের স্বার্থে নিচ্ছেন। শ্রমিকদের এই অসহায়ত্বের কথা বলার একমাত্র অবলম্বন হচ্ছে রাজপথ। তাই প্রতিবছর রমজান আসলেই চাকুরিচ্যুত অবস্থায় আধপেটা অবস্থায় রাস্থায় নামতে হয় ঈদ বোনাসের জন্য। যা সম্পুর্ন অমানবিক । চাকরি চলাকালীন শ্রমিকরা যে বেতন পায় তা দিয়ে মাসের ১০ দিনও চলা দুরূহ। সেখানে ঈদ আনন্দ উৎসব করাটা শ্রমিকদের জীবনে কল্পনীয় ব্যাপার হয়ে দাঁড়ায়। সকল প্রকার আইনি পাওনা আদােেয় শ্রমিকদের ধর্মঘটের বিকল্প কোনো পথ খোলা নেই। তাই বক্তারা সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে লড়াই সংগ্রামের মধ্য দিয়ে অধিকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলনকে বেগবান করার আহবান জানান।
বক্তারা আরোও বলেন, ডিজিটাল “পরিষেবা আইন” করে শ্রমিকদের ন্যায়সংগত ধর্মঘট করার অধিকার হরণ করার যে কৌশল তার বিরুদ্ধে সবাইকে আন্দোলন সংগ্রাম গড়ে তোলা ছাড়া এর কোনা বিকল্প নেই বলে উল্লেখ করেন। ‘বর্তমান সময়ে দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন ঊর্ধ্বগতিতে বাজারদরের সঙ্গে সংগতিপূর্ণ মজুরির দাবিতে গার্মেন্টস, হোটেলসহ বিভিন্ন সেক্টরের শ্রমিকরা যখন আন্দোলন-সংগ্রাম ও ধর্মঘট করার প্রস্তুতিতে আছেন তখন সরকারের ধর্মঘট নিষিদ্ধ করে আইন করার উদ্যোগ মালিকদের স্বার্থ রক্ষা ছাড়া আর কিছুই নয়। এ অবস্থায় অর্জিত অধিকার রক্ষায় শ্রমিকদের ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন গড়ে তোলার আহ্বান জানান।’ এবং সাথে সাথে আর্ন্তজাতিক বাজারের সাথে সমন্বয় করার নামে ইউরিয়া সারের দাম বৃদ্ধি করা, যেখানে সরকারের মন্ত্রী মহোদয় কিছুদিন আগেও বলেছিলেন সারের দাম বৃদ্ধির কোনা সম্ভাবনা নেই। এরকম হুটহাট অযৌক্তিক সিদ্ধান্ত গ্রহনের তিব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান।