নিউজ ডেস্ক :: মৌলভীবাজারের বড়লেখা উপজেলায় বসতঘরের টিনের চালে পটকা ছুড়ার ঘটনায় বিচারপ্রার্থী হওয়ার জেরে সন্ত্রাসী কায়দায় বাড়ি-ঘরে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে।
এসময় প্রতিপক্ষের লোকজনের হামলায় আগর-আতর ব্যবসায়ী নজমুল ইসলাম, কয়েছ আহমদ, তফজ্জুল হোসেনসহ ৫ জন আহত হয়েছেন। এরমধ্যে ব্যবসায়ী নজমুল ইসলামের অবস্থা আশংকাজনক বলে জানা গেছে।
ঘটনাটি ঘটেছে গত বুধবার (১২ এপ্রিল) বিকেলে পৌরসভার গাজিটেকা হেকিম বাড়িতে।
এঘটনায় গুরুতর আহত ব্যবসায়ী নজমুল ইসলামের বাবা নুরুল ইসলাম বাদী হয়ে বুধবার রাতে বড়লেখা থানায় একটি মামলা করেছেন।
মামলায় গাজিটেকা গ্রামের বাসিন্দা বড়লেখা পৌর যুবলীগের সভাপতি জসিম উদ্দিন, একই গ্রামের কামরুল ইসলাম, বুরহান উদ্দিন, আক্তার হোসেনসহ প্রতিপক্ষের ১৫ জনের নাম উল্লেখ এবং ৭-৮ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে।
এদিকে হামলায় জড়িত থাকার অভিযোগে পুলিশ ঘটনার পরপরই অভিযান চালিয়ে বড়লেখা পৌর যুবলীগের সভাপতি জসিম উদ্দিন ও কামরুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করে।
তাদের বৃহস্পতিবার দুপুরে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠিয়েছে।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, গত ১০ এপ্রিল রাতে আসামি সাইদ আহমদ ও সুহাগ আহমদ আহত কয়েছ আহমদ ও তফজ্জুল হোসেনের বসতঘরের টিনের চালে পটকা ফোটায়। এতে ঘরে থাকা ছোট্ট বাচ্চারা ভয়ে-আতংকে কান্নাকাটি করে। এ ঘটনার বিচারপ্রার্থী হওয়ায় পরদিন দুপুরে ও রাতে আসামিরা আহতদের ঘরের চালে ইট, পাথর দিয়ে ঢিল ছুড়ে। পরে পঞ্চায়েতের নিকট বিচার দিলে মুরব্বিরা বুধবার রাতে তারাবির নামাজের পর সালিশ বৈঠকে বিরোধীয় বিষয়টি সমাধান করে দেওয়ার আশ্বাস দেন। কিন্তু এর আগেই ক্ষিপ্ত হয়ে অভিযুক্তরা সঙ্গবদ্ধভাবে দা, ছুরি, রডসহ লাঠিসোটা নিয়ে বিচারপ্রার্থীদের বাড়িতে ঢুকে হামলা ও ভাংচুর চালায়।
বড়লেখা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ইয়ারদৌস হাসান বলেন, ‘পুলিশ হামলা-ভাংচুরের ঘটনায় সম্পৃক্ততার অভিযোগে জসিম উদ্দিন ও কামরুল ইসলাম নামে দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে। বৃহম্পতিবার বিকেলে আদালতের মাধ্যমে তাদেরকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।’