অনুসন্ধান নিউজ :: সিলেটে প্রথম আলোর রজতজয়ন্তী উদ্যাপিত হয়েছে। আজ সোমবার বিকেল সাড়ে চারটায় সিলেট নগরের চৌহাট্টা এলাকার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের মুক্তমঞ্চে ‘সত্যে তথ্যে ২৫’ স্লোগানে রজতজয়ন্তী উদ্যাপন করা হয়।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন প্রথম আলো সিলেটের নিজস্ব প্রতিবেদক সুমনকুমার দাশ। শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন বীর মুক্তিযোদ্ধা ও শিশুসাহিত্যিক তুষার কর, কবি শুভেন্দু ইমাম, সিলেট জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভপতি এমাদ উল্লাহ শহিদুল ইসলাম, সিলেট জেলা প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি তাপস দাস পুরকায়স্থ ও উইমেন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি স্বর্ণলতা রায়।
তুষার কর বলেন, আলোর বিপরীতে অন্ধকার। সেই অন্ধকার তাড়ানোর কাজ করছে প্রথম আলো। প্রথম আলো চায় গণতন্ত্র, মানবাধিকার, বাকস্বাধীনতা, সমঅধিকার, সার্বিক মুক্তি। যে লড়াই ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ হয়েছিল। সে লড়াইয়ের পক্ষে এবং মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের পত্রিকা প্রথম আলো। চারটি স্তম্ভকে বুকে ধারণ করে বাংলাদেশ প্রকাশিত হয়েছিল। সেই প্রকাশকেই তুলে ধরছে প্রথম আলো। আমরা সেই আলোকে পাশে রাখতে চাই। প্রথম আলো বিশেষ কারও পক্ষে নয়, সকল মানুষের পক্ষে। অন্ধকার দূর করে আরও আলো বিকশিত করবে প্রথম আলো।
শুভেন্দু ইমাম বলেন, ‘প্রথম আলো সাংবাদপত্র জগতের একটি উজ্জ্বল নক্ষত্রের নাম। এ পত্রিকা থেকে সত্য, সুন্দর ও যথার্থ সংবাদ পেয়ে থাকি।’ এমাদ উল্লাহ শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘প্রথম আলোয় শুধু সংবাদ পরিবেশনের মধ্যে সীমাবদ্ধতা নয়। বহুমাত্রিক কাজ করে যাচ্ছে। ভবিষ্যতে এ বহুমাত্রিকতা আরও প্রসারিত হবে।’
তাপস দাস পুরকায়স্থ বলেন, ‘প্রথম আলো শুধু সংবাদপত্র নয়, সামাজিক বিভিন্ন আন্দোলনেও ভূমিকা রাখছে।’ স্বর্ণলতা রায় বলেন, প্রথম আলো ২৫ বছর ধরে আলোর পথ দেখাচ্ছে। সত্য ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ প্রকাশ করে প্রথম আলো এগিয়ে যাচ্ছে। প্রথম আলো গর্ব বোধ করার মতো কাজ করে। তারুণ্যের বাংলাদেশের সঙ্গে প্রথম আলো অঙ্গাঅঙ্গিভাবে জড়িত। সত্যের খবর সবসময় প্রথম আলো প্রকাশ করবে।
অনুষ্ঠানের শুরুতে উপমহাদেশের প্রখ্যাত গণসংগীতশিল্পী ও সিলেটের সন্তান হেমাঙ্গ বিশ^াসের লেখা একটা গান গেয়ে শোনান শিল্পী লিংকন দাশ। পুরো অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন প্রথম আলো বন্ধুসভা সিলেটের সাংস্কৃতিক সম্পাদক ফারহানা হক। সমাপণী বক্তব্য দেন প্রথম আলো বন্ধুসভা সিলেটের সভাপতি অন্তর শ্যাম ও সাধারণ সম্পাদক ইয়াহইয়া হোসেন।
অনুষ্ঠানে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার প্রায় দেড় শতাধিক মানুষ উপস্থিত ছিলেন। এঁদের মধ্যে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ^বিদ্যালয়ের অধ্যাপক নাজিয়া চৌধুরী ও সহকারী অধ্যাপক শিল্পী রানী বসাক, উদীচী সিলেটের সভাপতি এনায়েত হাসান মানিক, দুর্নীতি মুক্তকরণ বাংলাদেশ ফোরামের সাধারণ সম্পাদক মকসুদ হোসেন, সাহিত্যিক জামান মাহবুব, মোস্তাক আহমাদ দীন, বিধুভূষণ ভট্টাচার্য, রণদীপন বসু, পুলিন রায় ও আয়েশা মুন্নী, সিলেট চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সাবেক পরিচালক মুকির হোসেন চৌধুরী, সম্মিলিত নাট্য পরিষদ সিলেটের সভাপতি রজতকান্তি গুপ্ত ও সাধারণ সম্পাদক মোস্তাক আহমেদ, সিলেট জেলা প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ছামির মাহমুদ, নাট্যসংগঠক নিরঞ্জন দে, উত্তম সিংহ ও খোয়াজ রহিম, বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) সিলেটের সাধারণ সম্পাদক আবদুল করিম চৌধুরী কিম, অধ্যাপক রজত কান্তি ভট্টচার্য্য, কবি সুমন বণিক ও প্রণবকান্তি দেব, গণজাগরণ মঞ্চ সিলেটের সমন্বয়ক দেবাশীষ দেবু, সিলেট অনলাইন প্রেসক্লাবের সভাপতি মুহিত চৌধুরী, সিলেট বিভাগীয় ফটো জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আবদুল বাতিন ফয়সল, সাংবাদিক আবদুল মালিক জাকা, মুক্তাদীর আহমদ, বিলকিস আক্তার সুমি, মুনশী ইকবার, এবং সন্দীপন শুভ, সিলেট সরকারি মহিলা কলেজের সহকারী অধ্যাপক রিংকু তালুকদার, ছাতক ডিগ্রি কলেজের প্রভাষক প্রভাত দেবনাথ, শিল্পী খোতন ফকির, বশির উদ্দিন সরকার, প্রশান্ত লিটন, আলেয়া রহমান,শামীমা আক্তার, ওবায়দুল মুন্সি, বাবুল আহমদ, হৃষীকেশ রায় শংকর, রনদীপম বসু, শাহ সিকান্দর শাকির প্রমুখ ।