নিউজ ডেস্ক :: বিএনপি নেতা-কর্মীরা দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন বানচাল করতে চায় অভিযোগ তুলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, ‘ভিসানীতি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র যদি তাদের কথায় ঠিক থাকে, তাহলে বিএনপি নেতাদের উপর ভিসা নীতি প্রয়োগ করা উচিত।’
শুক্রবার সন্ধ্যায় সিলেটে নিজ বাসভবনে যুক্তরাষ্ট্রের পর্যবেক্ষক দলের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এমন মন্তব্য করেন তিনি।
এ সময় ড. মোমেন বলেন, ‘বর্তমান সময়ে দেশে বিএনপির জনপ্রিয়তা অনেকটা কমে গেছে। তারা সন্ত্রাসের পথ বেছে নিয়েছে। বিএনপির দাবি দুটি। তার একটি হলো, প্রধানমন্ত্রীর অপসারণ; দ্বিতীয়টি, খালেদা জিয়াকে সাজা না দেয়া।’
‘খালেদা জিয়াকে সাজা সরকার দেয়নি’ মন্তব্য করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘সরকারের স্টেপ ডাউন কোনো গণতান্ত্রিক সমাজে হয় না। এটা সামরিক শাসনে সম্ভব। নেতৃত্বে অপরিপক্কতার কারণে তারা বারবার বিভিন্ন ইস্যু মিস করছে।’
‘নির্বাচন কমিশন এখন শক্তিশালী বলেই আওয়ামী লীগের নির্বাচনি প্রচারণা বিষয়ে কড়াকড়ি করছে। একইভাবে বিএনপির ওপর সমানভাবে কড়াকড়ি আরোপ করা উচিত’, এমন মন্তব্যও করেন মন্ত্রী।
অপর এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘আগামী নির্বাচন পর্যবেক্ষণের জন্য বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ২২৭ জন পর্যবেক্ষক ও অসংখ্য সাংবাদিক আসবে।’
নির্বাচন পর্যবেক্ষণের বিষয়টি ব্যক্তিগতভাবে তার অপছন্দ জানিয়ে ড. মোমেন বলেন, ‘আমরা আমাদের ভোট দেব। জনগণ যেভাবে ভোট দেবে, তাতেই আমি খুশি; জনগন ভোট না দিলে নাই। এটার সার্টিফিকেট বিদেশিদের কাছ থেকে কেন নিতে হবে? যুক্তরাষ্ট্র-ভারতের মতো পৃথিবীর অনেক দেশের নির্বাচনে তো পর্যবেক্ষক থাকে না!’
তিনি জানান, নির্বাচন নিয়ে কোনো মন্তব্য করেনি যুক্তরাষ্ট্রের পর্যবেক্ষক দলের সদস্যরা। তারা তথ্য সংগ্রহ করছে। আগামীতে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মধ্যে কীভাবে তিক্ততা কমানো যায়, বিএনপি কেন নির্বাচনে আসেনি- এসব বিষয়ে জানতে চেয়েছেন তারা।
পর্যবেক্ষক দলের সদস্যদের মধ্যে ছিলেন- আইআরআইয়ের এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলের জ্যেষ্ঠ উপদেষ্টা জিওফ্রে ম্যাকডোনাল্ড, আইআরআইয়ের সিনিয়র প্রোগ্রাম ম্যানেজার অমিতাভ ঘোষ ও আইআরআইয়ের প্রোগ্রাম ম্যানেজার ডেভিড হোগস্ট্রা।