শিরোনাম :
আহতদের দেখতে নিউরোসায়েন্স হাসপাতালে গেলেন ড. ইউনূস সীমান্তে পিঠ দেখাবেন না: বিজিবিকে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বিতর্ক সৃষ্টি হয় এমন জায়গায় হাত দেবে না সরকার: ধর্ম উপদেষ্টা যুক্তরাজ্য প্রবাসী আশরাফ ও লায়েকে সিলেটে স্বেচ্ছাসেবক দলের সংবর্ধনা মোহনা সমাজ কল্যাণ সংস্থার উদ্যোগে মাছুম আহমদ এর স্মরণ সভা ও দোয়া মাহফিল সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে অভিযান, অস্ত্রউদ্ধার বিমান বন্দরে স্বেচ্ছাসেবক দলের আর্ন্তজাতিক বিষয়ক সম্পাদক শাহীন সংবর্ধীত আজ একমাস! বিপ্লবের ভাষা কি আমরা বুঝতে পেরেছি? পতিত স্বৈরশাসক বাংলাদেশ থেকে কিন্তু খুব বেশি দুরে নয়! শিখা অনির্বাণে প্রধান উপদেষ্টার শ্রদ্ধা ১৬ সেপ্টেম্বর পবিত্র মিলাদুন্নবী (সা.)

আবার হাসপাতালে খালেদা জিয়া

রিপোর্টার নামঃ
  • বৃহস্পতিবার, ১৪ মার্চ, ২০২৪
  • ৫৬ বার পড়া হয়েছে

নিউজ ডেস্ক :: বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে আবারও রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। শারীরিক কিছু জটিলতার কারণে বুধবার রাতে তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক অধ্যাপক শাহাবুদ্দিন তালুকদারের নেতৃত্বে মেডিকেল বোর্ডের তত্ত্বাবধায়নে আছেন সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী।

তার ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক এজেডএম জাহিদ হোসেন রাতে জানান, মেডিকেল বোর্ডের পরামর্শে কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য ম্যাডামকে হাসপাতালে আনা হয়েছে। কয়েকটি পরীক্ষা একটু সময় লাগবে, তাই তাকে ভর্তি করা হয়েছে। পরীক্ষাগুলোর রিপোর্ট পাওয়ার পর মেডিকেল বোর্ড পরবর্তী সিদ্ধান্ত নিবেন।

এর আগে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে গুলশানের বাসা থেকে রওনা দেন খালেদা জিয়া। রাত সাড়ে ৮টার দিকে হাসপাতালে পৌঁছান। পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, এভারকেয়ার হাসপাতালে নেওয়ার পর খালেদা জিয়াকে করোনারি কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) নিয়ে তার ফুসফুসের পানি অপসারণ করা হয়।

এদিকে দলীয় প্রধানের হাসপাতালে যাওয়ার খবরে বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা বাসা ও হাসপাতাল এলাকায় ভিড় করেন। হাসপাতালে যাওয়ার পথে নেতাকর্মীরা খালেদা জিয়ার গাড়ি বহরের সঙ্গে থেকে তার মুক্তি চেয়ে নানা স্লোগান দেন।

এ সময় উল্লেখযোগ্য নেতাদের মধ্যে ছিলেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আব্দুস সালাম, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, বিএনপি চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, ঢাকা মহাগর উত্তর বিএনপির সদস্য সচিব আমিনুল হক, ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব, সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দিন নাছির প্রমুখ।

এর আগে গত ৮ ফেব্রুয়ারি নিয়মিত স্বাস্থ্যপরীক্ষার জন্য এভারকেয়ার হাসপাতালে নেওয়া হয়। এরপর ফুসফুসের পানি অপসারণের পর এক্স-রে, ইসিজি, আল্ট্রাসনোগ্রাফিসহ কিছু পরীক্ষা করা হয়। পরীক্ষার রিপোর্ট দেখে মেডিকেল বোর্ড তাকে বাসায় যাওয়ার পরামর্শ দেন। এরপর ওইদিনই রাতে হাসপাতাল থেকে বাসায় ফেরেন বিএনপি চেয়ারপারসন। বাসায় থেকেই তার চিকিৎসা চলছিল।

এর আগে খালেদা জিয়ার এনজিওগ্রাম করা হলে তার হার্টে তিনটি ব্লক ধরা পড়ে। এর একটিতে রিং পরানো হয়। গত ৯ আগস্ট শারীরিক অসুস্থতার কারণে আবারও খালেদা জিয়াকে এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পাঁচ মাসেরও বেশি সময় চিকিৎসা শেষে গত ১১ জানুয়ারি গুলশানে ভাড়া বাসা ফিরোজায় ফেরেন খালেদা জিয়া।

উন্নত চিকিৎসার জন্য খালেদা জিয়াকে বিদেশে নিতে তার পরিবার থেকে সরকারের কাছে আবেদন করা হলেও অনুমতি পাওয়া যায়নি। এমন পরিস্থিতিতে লিভার সিরোসিসে আক্রান্ত বিএনপির চেয়ারপারসনের রক্তনালিতে অস্ত্রোপচার করা হয় গত বছরের ২৭ অক্টোবর। যুক্তরাষ্ট্র থেকে তিনজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক এনে তার রক্তনালিতে অস্ত্রোপচার করা হয়েছিল। তার স্বাস্থ্য কিছুটা স্থিতিশীল হলে সে দফায় পাঁচ মাসের বেশি সময় পর তাকে বাসায় নেওয়া হয়।

খালেদা জিয়া হার্টের সমস্যা, লিভারসিরোসিস ছাড়াও নানা শারীরিক জটিলতায় ভুগছেন। বহু বছর ধরে আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, দাঁত ও চোখের সমস্যাসহ নানা জটিলতা রয়েছে তার। কারাগার থেকে বেরোনোর পর চিকিৎসার জন্য কয়েক দফা হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নেন তিনি।

দুই মামলায় খালেদা জিয়াকে ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি কারাগারে নেওয়া হয়। দুই বছরের বেশি সময় কারাবন্দী ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসন। ২০২০ সালের ২৫ মার্চ সরকার নির্বাহী আদেশে সাজা স্থগিত করে শর্ত সাপেক্ষে মুক্তি দেয়। তখন থেকে ছয় মাস পরপর তার সাজা স্থগিত করে মুক্তির মেয়াদ বাড়াচ্ছে সরকার।

আরো সংবাদ পড়ুন
© All rights reserved © 2021 Anushondhan News
Developed by Host for Domain