নিউজ ডেস্ক :: সিলেট নগরী ও শহরতলীর আশপাশের টিনের তৈরি ঘরের ব্যাপক ক্ষতি করেছে শিলাবৃষ্টি। শিলার আঘাতে ভেঙেছে কয়েক শ গাড়ির কাঁচ। আহত হয়েছেন ৬৩ জন লোক। গত রোববার ৩১ মার্চ রাত ১০ টা ২৫ মিনিটে হঠাৎ করেই শুরু হওয়া শিলাবৃষ্টিতে এ ক্ষয়ক্ষতির ঘটনা ঘটেছে। শিলাবৃষ্টির তান্ডব চলে প্রায় ১২ মিনিট পর্যন্ত। এই ১২ মিনিটের শিলাবৃষ্টির তান্ডবে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী সিলেট সদর উপজেলায় প্রায় ৬০/৭০ ভাগ টিনের তৈরি বাড়ি ঘরের ব্যপক ক্ষতিক্ষতি হয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সিলেট সদর উপজেলার ৭টি ইউনিয়নের সবকয়টি ইউনিয়ন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তবে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে ৩নং খাদিমনগর ইউনিয়ন ও ৪নং খাদিমপাড়া ইউনিয়ন। এই ইউনিয়ন দু’টি ভৌগোলিক অবস্থা পাশাপাশি হওয়ায় ক্ষতির পরিমান সবচেয়ে বেশি। বাকী ইউনিয়ন গুলোর ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এই দু’টি ইউনিয়নের চাইতে কিছুটা কম।
এদিকে শিলাবৃষ্টিতে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছে সিলেট সদর উপজেলা প্রশাসন। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের তালিকা তৈরি করতে ইউনিয়ন চেয়ারম্যানদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের তালিকা যাচাই-বাছাই করে তাদেরকে সরকারের পক্ষ থেকে সহায়তা করা হবে।
খাদিমনগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. দিলোয়ার হোসেন বলেন, আমার ইউনিয়নে সবচেয়ে বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। শতকরা ১০০ টি টিনের ঘরের মধ্যে প্রায় ৮০টি ঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
এ বিষয়ে সিলেট সদর উপজেলা নির্বার্হী অফিসার নাছরীন আক্তার বলেন, শিলাবৃষ্টিতে আমার উপজেলায় টিনের তৈরি ঘর বাড়ির ব্যপক ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ার খবর পেয়েছি। বিষয়টি জেলা প্রশাসক স্যারকে অবহিত করা হয়েছে । ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে কি পরিমাণ সহায়তা করা হবে তা ঊর্ধ্বতন স্যারদের সাথে কথা বলে ঠিক করা হবে। বর্তমানে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের তালিকা তৈরি করার জন্য ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানদের দায়িত্ব দিয়েছি। তালিকা হাতে পাওয়ার পর যাচাই-বাছাই করে সরকারি সহায়তা বিতরণ করা হবে বলে তিনি জানান।