লেখক ও সাংবাদিক মো. মনির হোসেন :: মত প্রকাশের, ভাব প্রকাশের, সংবাদ পত্রের, শান্তিপূর্ণ ভাবে জনগণের একত্রিত হবার, প্রতিবাদ জানাবার, সরকারের কাছে জনগণের ক্ষোভ-বিক্ষোভ জানাবার অধিকার রাষ্ট্রের আইন প্রয়োগকারী সংস্থা কোন ভাবেই সংকীর্ণ করতে পারে না। নাগরিকদের এই অধিকার কোন ভাবেই আধুনিক গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ক্ষুণ্ণ, সংকীর্ণ বা সংকুচিত করতে পারে না। কারন এটাই গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের ভিত্তি। চিন্তা ও বিবেকের স্বাধীনতার মধ্যে রয়েছে সভা সমিতি সমাবেশের অধিকার, ক্ষোভ-বিক্ষোভ মিটিং মিছিল করবার অধিকার, লেখালিখি, প্রকাশনা ও ছাপা অধিকার, যে কোন মাধ্যমে কথা বলা ও প্রচারের অধিকার ইত্যাদি। এদের একটিও অপরটি থেকে আলাদা কিছু নয়।
প্রতিবাদ জানাবার, সরকারের কাছে জনগণের ক্ষোভ-বিক্ষোভ জানাবার অধিকার চিন্তা ও বিবেকের স্বাধীনতা থেকে ভিন্ন একটি বিষয় না। যারা লেখালিখি করেন না, কিম্বা লিখতে জানেন না তারা কিভাবে মত প্রকাশ করবেন? শুধু শিক্ষিতদের কিম্বা সাংবাদিকদের মত প্রকাশের স্বাধীনতা থাকবে, কিন্তু যাঁরা লেখালিখি করেন না, কিম্বা নিরক্ষর গরিব, হত দরিদ্র, শ্রমিক মেহনতি মানুষ তাদের কোন মত প্রকাশের ক্ষেত্র থাকবে না – সেটা তো হতে পারে না। তাই শান্তিপূর্ণ ভাবে জনগণের একত্রিত হবার, প্রতিবাদ জানাবার, সরকারের কাছে জনগণের ক্ষোভ-বিক্ষোভ জানাবার অধিকার চিন্তা ও বিবেকের স্বাধীনতার অন্তর্গত।
মতামত প্রকাশের অধিকার গণতন্ত্রের একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। কারণ এটি জনগণকে তথ্য ও ধারণার অবাধ প্রবাহের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত গ্রহণে অংশ নিতে সক্ষম করে। মত প্রকাশের স্বাধীনতা ব্যক্তিগত বিকাশের একটি মৌলিক বৈশিষ্ট্য। এটি আমাদের মতবিরোধ এবং শোনার অধিকার দেয়। বিভিন্ন চিন্তাভাবনা এবং মতামত প্রকাশের দ্বারা আমরা আমাদের মৌলিক বিশ্বাস সম্পর্কে নিজস্ব পছন্দ পোষণ করতে পারি।স্বাধীনতার ৫০ বছর পর বর্তমান সরকারকে মতপ্রকাশের স্বাধীনতাকে জনগনের কাছে ফিরিয়ে দিতে হবে,নতুবা স্বাধীনতার সুফল দুর মরীচিকা।