অনুসন্ধান নিউজ :: বিএনপির চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা খন্দকার আব্দুল মুক্তাদির বলেন, বিগত ১৭ বছর শিক্ষক সমাজ নির্যাতন ও নিপীড়নে শিকার হয়েছেন। বাংলাদেশের এমন কোন বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজ ও বিদ্যালয় নেই যেখানে ছাত্রলীগের হাতে শিক্ষক-শিক্ষকা লাঞ্চিত হন নি। শিক্ষকরা হচ্ছে মানুষ গড়ার কারিগর সেই শিক্ষক-শিক্ষকাদের উপর বিভিন্ন সময় হাত তুলেছে ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীরা।
তিনি নারী সমাজের নিরাপত্তার কথা বলতে গিয়ে বলেন, শেখ হাসিনা নারী হয়েও ধর্ষণ বন্ধ করতে পারেন নি। বিগত ১৭ বছর মেয়েদের ইজ্জতের কোন মূল্য ছিলে না। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি মানিক ধর্ষণে সেঞ্চুরী করেছে। শেখ হাসিনা এমন একটি বাংলাদেশ দেখতে চেয়েছিলে কোন শিক্ষা, সংস্কৃতি, বড়দের সম্মান, ছোটদের ভালোবাসা থাকবে না। শেখ হাসিনা দেশকে একটি ব্যর্থ রাষ্ট্র পরিণত করতে চেয়েছিলে। দেশকে ধ্বংস করতে দেশের ব্যাংক গুলোকে কিভাবে লুটপাট করা হয়েছে তা আপনারা দেখেছেন। ১৭ বছর আন্দোলন সংগ্রাম করে মধ্যে দিয়ে বিএনপি একটি ৫ আগস্ট সৃষ্টি করেছে। দেশ দ্বিতীয় বার স্বাধীনতা পেয়েছে। সেই স্বাধীনতা রক্ষার দায়িত্ব আমাদের সবার। মজলুম জননেতা তারেক রহমান নির্দেশে সাম্য ও মানবিক সমাজ বিনির্মাণে সবাইকে ঐক্যবন্ধ ভাবে কাজ করতে হবে।
তিনি বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান দেশনায়ক তারেক রহমানের নির্দেশে সাম্য ও মানবিক সমাজ বিনির্মানের লক্ষ্যে সিলেট শাহপরাণ গেইটে ৩৩নং ওয়ার্ড বিএনপি আয়োজিত জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি উপরোক্ত কথাগুলো বলেন।
বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য সিলেট মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ইমদাদ হোসেন চৌধুরী বলেন, স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা দেশের সকল স্থরকে ধ্বংসে করে দিয়েছেন। শেখ হাসিনা ফ্যাসিজন কায়েম করে বাংলাদেশের মানুষকে নির্যাতন নিপীড়ন করেছিল। কিন্তু বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল সেই নির্যাতনের বিরুদ্ধে ১৭টি বছর লড়াই করেছে। সর্বশেষ ছাত্র-জনতার আন্দোলনে স্বৈরাচার পালিয়ে গিয়েছে কিন্তু বিএনপি এখন মানুষের পাশে আছে থাকবে ইনশাল্লাহ।
৩৩নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি মুনিম আহমদের সভাপতিত্বে ও জেলা ছাত্রদল নেতা আব্দুল মুতাকাব্বি শাকি পরিচালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি মাজহারুল ইসলাম ডালিম, মহানগর বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক রেজাউল হাসান কয়েস লোদী, মহানগর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ সাফেক মাহবুব, জেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক সিদ্দিকুর রহমান পাপলু, মহানগর বিএনপির সাবেক ছাত্র-বিষয়ক সম্পাদক নুরুল আলম সিদ্দিকী খালেদ, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক আহবায়ক আব্দুল ওয়াহিদ সুহেল, জেলা যুবদলের সভাপতি এডভোকেট মোমিনুল ইসলাম মোমিন, মহানগর যুবদলের সাধারণ সম্পাদক মির্জা সম্রাট হোসেন, হাবিবুর রহমান হাবিব, মহানগর ছাত্রদলের সভাপতি সুদীপ জ্যোতি এষ, মহানগর ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক ফজলে রাব্বী আহসান, জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক দিলোয়ার হোসেন দিনার।
জনসভায় উপস্থিত ছিলেন ৩১নং ওয়ার্ড বিএনপির আহ্বায়ক রাজন মিয়া, ৩২নং আহ্বায়ক আমিনুল ইসলাম আমিন, ৩৪নং ওয়ার্ড বিএনপির আহ্বায়ক ফখর উদ্দিন পংকী, ১৫নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি শুইায়বুর রহমান সুয়েব, রফিকুল ইসলাম রফিক, খোরশেদ আহমদ খুশু, সৈয়দ রহিম আলী রাশু, আব্দুল মালিক শেকু প্রমুখ।