অনুসন্ধান ডেস্ক :: বাঙালির হাজার বছরের সংস্কৃতিকে ধরে রাখতে আল মদিনা ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের দিনব্যাপী আয়োজন করা হয় পিঠা উৎসব চিত্রাঙ্কন ও রচনা প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। পিঠা পুলির ঘ্রাণে মুখোরিত হয়ে ওঠে বিদ্যালয় প্রাঙ্গণ। দেশি বাহারি পিঠা প্রদর্শনীর মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের দেশীয় সংস্কৃতির সঙ্গে পরিচয় করানো হয়। পিঠা উৎসব উপলক্ষে ছাত্র-ছাত্রী, শিক্ষক-শিক্ষিকা, অভিভাবকদের আগমনে স্কুল প্রাঙ্গণ মিলন মেলায় পরিণত হয়। উৎসবে ছিলো হরেক রকমের পিঠার আয়োজন। গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী নানান ধরনের মুখরোচক পিঠা প্রদর্শনী করে সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করার চেষ্টা এবং ঐতিহ্য ধরা রাখাই ছিল এর প্রধান উদ্দেশ্য। গত শুক্রবার ২০ ডিসেম্বর সবুজ সেনা, সিলেট নগরীর ঘাসিটুলা জামে মসজিদ কমপ্লেক্স, নবাব রোডস্থ আল মদিনা ইন্টারন্যাশনাল স্কুল প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত হয়। ঘাসিটুলা জামে মসজিদ মোতায়াল্লী মো: আব্দুল মতিন এর সভা্পতিত্বে ও কবি মামুন সুলতান এর পরিচালনায়,
পিঠা উৎসব অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন, আল মদিনা ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের প্রিন্সিপাল মো: মঈন উদ্দিন তিনি বলেন, ‘পিঠা-পুলি আমাদের লোকজ ও নান্দনিক সংস্কৃতিরই প্রকাশ। কালের বিবর্তনে আর আধুনিকতার ছোঁয়ায় শহর কেন্দ্রীক জীবন জীবিকার কারণে এই দেশজ উৎসব কমে গেছে। পিঠা উৎসবের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা বাঙালির নানা রকমের পিঠার সঙ্গে পরিচিত হতে পারে। তিনি আরোও বলেন, গ্রাম-বাংলার ঐতিহ্যকে স্মরণ করতেই বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা স্টলে নানা আইটেমের পিঠা নিয়ে উৎসবে অংশগ্রহণ করেছেন, এসব পিঠা দেখতে বিভিন্ন স্টলে শিক্ষক, শিক্ষার্থীরা ও অবিভাবকদের ভিড় এবং মিলে এ উৎসব অনুষ্ঠিত হয়।
এসময় উপস্থিত বক্তব্য রাখেন, মেট্রোসিটি প্রি ক্যাডেন্ট একাডেমীর প্রিন্সিপাল সাহেদ হোসাইন, এসআই মো: মঞ্জুর আহমদ, সেন্ট্রাল লাইব্রেরি পরিচালক মামুনুর রশিদ, সমাজসেবী মো: আব্দুল কাদির, আইন ইদ্দন ভুইয়া, সাংবাদিক আলমগীর আলম, আল মদিনা ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের ভাইস প্রিন্সিপাল লতিফা মঈন শিমু, সুজিত কুমার দাশ সহ বিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থীরা ও অবিভাবকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
পিঠা উৎসবে আল মদিনা ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের শিক্ষার্থীরা জানান , বাবা-মায়ের হাত ধরে ঘুরে দেখছেন স্টল। জানছেন নতুন নতুন পিঠা সম্পর্কে। পুরো স্কুল মাঠ রূপ নিয়েছে অনিন্দ্য মিলনমেলায়। জানা-অজানা পিঠার সম্পর্কে জানতে পেরে এবং স্বাদ গ্রহণ করতে পেরে খুশি শিক্ষার্থীরা। তারা আরোও জানান যে বাহারি রকমের এতো পিঠা একসঙ্গে এরআগে কখনো দেখা হয়নি, এতে খুব আনন্দ । পিঠা উৎসবে ১৩টি স্টল অংশগ্রহন করেন। অনুষ্ঠানে শেষে চিত্রাঙ্কন ও রচনা প্রতিযোগিতা এবং স্টল অংশগ্রহনকারী বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তোলে দেওয়া হয়।