অনুসন্ধান ডেস্ক :: বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন সিলেট মহানগরীর দক্ষিণ সুরমা থানা শাখার দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন-২০২৪ সম্পন্ন হয়েছে। গত (২৯ ডিসেম্বর) সিলেট নগরীর গোটাটিকরস্থ একটি কমিউনিটি সেন্টারে এ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন দক্ষিণ সুরমা থানা শাখার সভাপতি কফিল উদ্দিন আলমগীর এর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমানের পরিচালনায় সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যান ফেডারেশন সিলেট অঞ্চলের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক মাওলানা ফারুক আহমদ। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ও সিলেট মহানগর সভাপতি এডভোকেট জামিল আহমদ রাজু, সিলেট জেলা বাস মিনিবাস মালিক সমিতির সভাপতি মাওলানা লোকমান আহমদ, দক্ষিণ সুরমা থানা জামায়াতের আমির মাওলানা মুজিবুর রহমান, মহানগর শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের সহ-সভাপতি মিয়া মোহাম্মদ রাসেল, সহ-সাধারণ সম্পাদক আক্কাস আলী, সাংগঠনিক সম্পাদক দিলশাদ মিয়া, হবিগঞ্জ জেলা শ্রমিক কল্যান ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক মোজান্মেল হোসেন, দক্ষিণ সুরমা থানা জামায়াতের সেক্রেটারি ফয়জুল ইসলাম জায়গীরদার, সিলেট জেলা শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের সেক্রেটারি আব্দুল মুহিদ। সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন ও উপস্থিত ছিলেন শ্রমিক নেতা আব্দুর রহিম, মনসুর খান, এডভোকেট নাজমুল ইসলাম, সোহেল রানা, রফিকুল ইসলাম লিংকন, বিলাল মিয়া, জিয়াউর রহমান, সুমন আহমদ চৌধুরী, আলি হোসেন, জাহাঙ্গীর হোসেন, ইভান আহমদ, আব্দুস সোবহান, আমিনুল ইসলাম, জমির হোসেন, সিতাব আলি প্রমুখ।
দ্বি-বার্ষিক সম্মেলনে ২০২৫-২০২৬ সেশনের জন্য কফিল উদ্দিন আলমগীরকে সভাপতি ও হাবিবুর রহমানকে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত করে শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন দক্ষিণ সুরমা থানার ৩৫ সদস্যবিশিষ্ট কার্যকরী পরিষদ গঠন করা হয়।
অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথি এডভোকেট জামিল আহমদ রাজু নব-নির্বাচিত সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে শপথবাক্য পাঠ করান। পরে নব-নির্বাচিত সভাপতি কফিল উদ্দিন আলমগীর কার্যকরী পরিষদের সকল সদস্যদের শপথবাক্য পাঠ করান।
অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতা জুলাই-আগস্টে অভ্যুন্থানের মাধ্যমে বাংলাদেশ থেকে ফ্যাসিবাদ ও স্বৈরাচারী শাসন দূর করে আমাদেরকে সুন্দর একটি দেশ উপহার দিয়েছেন। এই দেশকে নতুনভাবে গড়তে সব জায়গায় বৈষম্য দূর করে সমাজে নীতি নৈতিকতা সম্পন্ন আদর্শ মানুষ তৈরি করতে হবে। যদি শ্রমিকদের সাথে বৈষম্য করা হয় তাহলে শ্রমিক কল্যাণ সহ তৃণমূল শ্রমিকরা আন্দোলনের মাধ্যমে তাদের অধিকার আদায় করবে। বক্তারা বলেন, দেশের অর্থনীতি ও শ্রমিকদের কল্যাণের স্বার্থে অবিলম্বে পাথর কুয়ারি খুলে দিতে হবে। বর্তমান ডিজিটালের এই যুগে রিকশা শ্রমিকরা পায়ে ফেডেল দিয়ে জীবিকা নির্বাহ করতে সীমাহীন কষ্ট হচ্ছে। তাদের কষ্ট লাঘবে ব্যাটারি চালিত রিকশা বৈধভাবে চলাচলের অনুমতি দেয়ার জন্য কর্তৃপক্ষের কাছে জোর দাবি জানান। বক্তারা ইসলামিক রাষ্ট্র ও ইনসাফ ভিত্তিক সমাজ বির্নিমানে ও কোরআনের আলোকে দেশ গঠনে শ্রমিকদের ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহবান জানান।