গোয়াইনঘাট প্রতিনিধি :: গোয়াইনঘাট থানাধীন ০২নং পশ্চিম জাফলং ইউনিয়নের অন্তর্গত জয়নগর গ্রামে প্রভাবশালী ভূমিখেকু খুনি চক্রের হামলায় নিহত মৃত নিছার আলীর পুত্র আব্দুল লতিব ও তার পরিবারের এক নবজাতক কে হত্যার ঘটনায় মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভায় বক্তারা বলেছেন আব্দুল লতিব ও তার পরিবারের নবজাতক সদস্য হত্যার ঘটনায় খুনীদের ৭২ ঘন্টার মধ্যে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় নিয়ে আসতে হবে। অন্যতায় দেশবাসী কে সাথে নিয়ে কঠোর থেকে কঠোরতর আন্দোলনের ডাক দেওয়া হবে। বক্তারা বলেন ঘটনার এক সাপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও এখন পর্যন্ত কোন আসামী গ্রেফতার করা হয়নি এতে আমরা উদ্বিগ্ন। এমনভাবে অপরাধীরা ধরাছোয়ার বাইরে থাকলে জনজীবন কঠিন হয়ে পড়বে। আমরা গোয়াইনঘাট থানার অফিসার ইনচার্জ ও অন্তভর্তীকালীন সরকারের দৃষ্টি আকৰ্ষণ করছি অনতিবিলম্বে চিহ্নিত এজহার নামীয় আসামীদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় নিয়ে আসতে হবে।
অধ্য ৬ জানুয়ারি বিকাল ৪ ঘটিকার সময় স্থানীয় মাতুরতল বাজারে পশ্চিম জাফলং ইউনিয়ন বাসী ব্যানারে আয়োজিত মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন।
তরুণ সমাজ সেবক ও রাজনীতিবিদ এমদাদ উল্ল্যাহর সভাপতিত্বে ও এম সেলিম উদ্দিন এর উপস্থাপনায় এতে বক্তব্য রাখেন পশ্চিম জাফলং ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান শামছুদ্দিন কামাল, সমাজ সেবক উসমান গনি, সোনার হাট যুব সংঘের সভাপতি সাইফ উদ্দিন, আব্দুল মুতলিব, যুব নেতা সেলিম আহমদ তানিম, ফখরুল ইসলাম, শ্রমিক নেতা জাবির আহমদ, শাহীন আহমদ প্রমুখ।
উল্লেখ্য যে গত ১৫ ডিসেম্বর বিকাল ৫ ঘটিকার সময় আব্দুল লতিব এর বসতবাড়ির উত্তর দিকে বাদীর পুকুরের পশ্চিম পাড়ে গরু দিয়ে ঘাস খাওয়ানোকে কেন্দ্র করে উক্ত ঘটনা ঘটে। এতে আসামীদের হাতে থাকা ধারালো অস্ত্র, দা, স্টিলের পাইপ, লোহার রড, চাউরা গাছের রুল দিয়া এলোপাতাড়িভাবে আক্রমন ও মারধরের ফলে আব্দুল লতিবের মাথায় আঘাত করা হয়। চার পাঁচ জন গুরুতর আহত ও আব্দুল লতিবের মাথা সহ বিভিন্ন স্থানে জখম হয়।
এ ঘটনায় চিকিৎসার জন্য সিলেট ওসমানী মেডিকেলে ভর্তি করালে ডাক্তার উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজে প্রেরন করলে সেখানে তাহার মস্তিষ্কের অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের ফলে গত ৩০ ডিসেম্বর রাত ৭:০০ ঘঠিকার সময় শেষ নি:শ্বাস ত্যাগ করেন। ইন্নালিল্লাহিওয়িন্নাইলাইহিরাজিঊন।
এ ঘটনায় গোয়াইনঘাট থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। যার নং ২৩/৩৩৯।
এজহার নামীয় আসামীরা হলেন(১) আরিফ উদ্দিন (৩৩), ২। মুজিবুর রহমান (২৭), ৩। আতাউর রহমান (২৯), ৪। সোহানুর সায়রা বেগম (৫৫), স্বামী- মৃত এখলাছুর রহমান আলিমা বেগম (২৪), ৫। আরিনা বেগম (২২), ৬। আজিমা বেগম (২১), সর্ব পিতা- মৃত এখলাছুর রহমান,ডাকঘর- মাতুরতল বাজার, থানা- গোয়াইনঘাট, সিলেট।
এছাড়াও উক্ত ঘটনায় গুরুতর আহত গর্ভবতী শারমীন বেগম এর শিশু মৃত অবস্থায় ডেলিভারী হলেও উক্ত শিশুকে ও ময়না তদন্ত করা হয়। গুরুতর আহত , শাহীন আহমদ, সাদ্দাম হোসেন , সমিরুন নেছা, হালিমা বেগম গণ সিলেট এম.এ.জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা গ্রহণ করিতেছেন।
এ ঘটনায় এলাকা জুড়ে জনসাধারণের মাঝে শোকের ছায়া নেমে এসেছে, সর্বস্তরের মানুষের মাঝে শোকাবহ বাতাস বইছে। এর সঠিক বিচার চেয়েছেন এলাকাবাসী।