অনুসন্ধান ডেস্ক :: বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেছেন, ‘নির্বাচনী প্রক্রিয়ার সঙ্গে জড়িত যতটুকু সংস্কার দরকার, সেটি না করে নির্বাচন যেন না হয়, সেটা বলেছি। না হলে আগের মত প্রশ্নবিদ্ধ নির্বাচন হবে। এছাড়াও আমরা ২৩টি লিখিত দাবি পেশ করেছি। এর মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ যেটা, সেটা হলো নির্বাচনী প্রক্রিয়ার সঙ্গে জড়িত প্রতিষ্ঠানগুলোর সংস্কার করা।’
আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশন (ইসি) ভবনে সিইসিসহ নির্বাচন কমিশনের সদস্যদের সঙ্গে বৈঠক শেষে সংক্ষপ্তি সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।
গোলাম পরওয়ার বলেন, ‘নির্বাচন সুষ্ঠু করার ব্যাপারে ইসির সঙ্গে আলাপ আলোচনা হয়েছে। খুবই আন্তরিকতা ও সৌহাদ্যপূর্ণ পরিবেশে আলোচনা হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘জনগণ চায় স্থানীয় সরকার সচল হোক। আমরাও জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচনের কথা বলেছি। এছাড়া আমরা সংখ্যানুপাতিক নির্বাচনের পক্ষে বলেছি। বাংলাদেশের জন্য এটি প্রয়োজন।’
এ সময় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে জামায়াত সেক্রেটারি বলেন, ‘৩০০ আসনে নির্বাচন করার প্রস্তুতি নিচ্ছে জামায়াত। প্রার্থী চূড়ান্ত করা হয়েছে।’
জামায়াতের নিবন্ধন নিয়ে তিনি বলেন, ‘আমাদের দলের নিবন্ধনের বিষয়টি আদালতে বিচারাধীন আছে। আশা করছি ন্যায়বিচার পাব। এছাড়াও আরও বলেছি, রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন আইন বিধি কঠোর, তা বাতিল করা উচিত। সবার রাজনীতি করার অধিকার আছে।’
জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ারের নেতৃত্বে প্রতিনিধি দলে ছিলেন দলের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এ. এইচ. এম হামিদুর রহমান আযাদ, বাংলাদেশ ল’ ইয়ার্স কাউন্সিলের সভাপতি ও জামায়াতের কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য অ্যাডভোকেট মো. জসীম উদ্দীন সরকার, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ জামায়াতের কর্মপরিষদ সদস্য অ্যাডভোকেট এস. এম. কামাল উদ্দীন, সুপ্রিম কোর্টের ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অ্যাডভোকেট মো. ইউসুফ আলী।