নিউজ ডেস্ক ::: দেশে রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষ থেকে আজ জাতীয় সংসদে উপস্থাপন করা হচ্ছে নতুন অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট। প্রায় ৭ লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকার বাজেট ঘোষণা করবেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। বাজেটে রাজস্ব আয় বাড়াতে এবং অভ্যন্তরীণ উৎপাদনকে উৎসাহিত করতে কিছু গুরুত্বপূর্ণ পণ্যে নতুন করে শুল্ক আরোপ ও বিদ্যমান শুল্কে পরিবর্তনের প্রস্তাব থাকছে। এরই ধারাবাহিকতায় বাড়তে পারে সিগারেট ও সংশ্লিষ্ট পণ্যের দাম।
চলতি বছরের জানুয়ারিতে সিগারেটের চারটি স্তরে দাম ও শুল্ক বাড়ানো হয়েছিল। ওই সময় ১০ শলাকা প্রতি সিগারেটে সম্পূরক শুল্ক ৫ থেকে ৭ শতাংশ বাড়ানো হয়। ফলে, চলতি বাজেটে সিগারেটের মূল দাম বা শুল্কে নতুন করে পরিবর্তনের পরিকল্পনা না থাকলেও, এবার নজর পড়েছে তামাক শিল্পের কাঁচামালের ওপর।
বিশেষ করে, সিগারেট তৈরিতে ব্যবহৃত কাগজের ওপর সম্পূরক শুল্ক ৬০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১০০ শতাংশ করার প্রস্তাব আসছে বাজেটে। এতে করে উৎপাদন ব্যয় বাড়বে, ফলে সিগারেটের দামেও বাড়তি চাপ পড়তে পারে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
বর্তমানে বাংলাদেশে প্রায় ৩ কোটি ৭৮ লাখ প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ তামাকজাত পণ্য ব্যবহার করেন। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, বছরে দেশে প্রায় ১ লাখ ৬১ হাজার মানুষ তামাকজনিত কারণে মৃত্যুবরণ করেন। শুধু তাই নয়, ২০১৭-১৮ অর্থবছরে তামাক ব্যবহারের কারণে অর্থনীতিতে ক্ষতির পরিমাণ ছিল প্রায় ৩০ হাজার ৫৬০ কোটি টাকা।
এই পরিপ্রেক্ষিতে তামাক নিয়ন্ত্রণে শুল্কনীতি ব্যবহার করা হলে তা জনস্বাস্থ্যের জন্য ইতিবাচক হতে পারে বলে মত বিশেষজ্ঞদের। তবে তারা মনে করেন, তামাক কোম্পানিগুলো দাম সমন্বয়ের মাধ্যমে শুল্কবৃদ্ধির চাপ ভোক্তার কাঁধে চাপিয়ে দিলে তেমন সুফল আসবে না।
বাজেটে শুধু সিগারেট নয়, আমদানি পণ্যের শুল্ক কাঠামোয়ও পরিবর্তন আসছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, একটি নতুন ৩ শতাংশ হারে আমদানি শুল্ক স্তর যুক্ত করা হচ্ছে। পাশাপাশি ৪০ শতাংশ হারেও নতুন সম্পূরক শুল্ক স্তর বসানো হতে পারে। এতে করে সিমেন্ট, এলইডি লাইট, সয়াবিন মিল, অটোরিকশা ইত্যাদি গুরুত্বপূর্ণ পণ্যের দাম বাড়তে পারে। ফলে গৃহনির্মাণ থেকে শুরু করে খাদ্যশিল্প, পরিবহনখাত-সবখানেই এর প্রভাব পড়বে।