গোয়াইনঘাট প্রতিনিধি ::: এশিয়ার একমাত্র মিঠাপানির জলাবন ‘রাতারগুল সোয়াম্প ফরেস্ট’-এ অবৈধ মাছ শিকারের বিরুদ্ধে যৌথ অভিযান চালিয়েছে বন বিভাগ ও সহ-ব্যবস্থাপনা কমিটি। সোমবার পরিচালিত এই অভিযানে গভীর জলে পেতে রাখা ৩১টি নিষিদ্ধ চায়না দুয়ারি জাল উদ্ধার করে তা পুড়িয়ে ধ্বংস করা হয়।
অভিযান পরিচালনায় অংশ নেয় বন বিভাগের কর্মকর্তা, সহ-ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য ও তিনঘাট এলাকার নৌকা মাঝিরা। উদ্ধারকৃত জালের বাজারমূল্য প্রায় দুই লক্ষ টাকা বলে জানা গেছে।
সহ-ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি মাহবুব আলম জানান, সম্প্রতি স্থানীয়দের কাছ থেকে অবৈধ মাছ শিকারের খবর পেয়ে সাঁড়াশি অভিযানের আয়োজন করা হয়। “রাতারগুলের পরিবেশ রক্ষায় আমরা শূন্য সহনশীল নীতি অনুসরণ করছি,” বলেন তিনি।
বিট কর্মকর্তা মাসুম বিল্লাহ বলেন, “নিষিদ্ধ জাল ব্যবহারে ছোট মাছ ও ডিমপাড়া প্রজাতি ধ্বংস হচ্ছে, যা বাস্তুতন্ত্রের ভারসাম্য নষ্ট করছে।”
পরিবেশবিদরা মনে করছেন, রাতারগুলের মতো সংবেদনশীল জলাবনে এ ধরনের বেআইনি কর্মকাণ্ড বন্ধ না হলে ধীরে ধীরে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ও পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হবে। জীববৈচিত্র্য রক্ষা মানে শুধু একটি বন সংরক্ষণ নয়—এটি সিলেট অঞ্চলের জলজ পরিবেশ, স্থানীয় জীবিকা ও পর্যটনের সম্ভাবনার সঙ্গে গভীরভাবে জড়িত।
তাই রাতের আঁধারে পরিচালিত এই ‘মাছ নিধন সিন্ডিকেট’ বন্ধে বন বিভাগ, স্থানীয় জনগণ ও প্রশাসনের যৌথ তৎপরতা অব্যাহত রাখা সময়ের দাবি।
পরিবেশের ভারসাম্য, প্রাণবৈচিত্র্যের সুরক্ষা এবং পর্যটনের ভবিষ্যৎ—সবই নির্ভর করছে এই সচেতনতা ও দায়িত্বশীলতা বজায় রাখার উপর।