শিরোনাম :
সিটি মডেল স্কুলের বার্ষিক পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ ও অ্যাওয়ার্ড প্রদান অনুষ্ঠান সম্পন্ন ওসমান হাদিকে বাঁচানো গেল না সিলেট সিটি কর্পোরেশনের বস্তিসমুহের সমস্যাগুলো নিয়ে কমিউনিটি কর্মশালা “সিলেটে সরকারি উন্নয়ন কর্মসূচিতে জনসম্পৃক্ততা নিশ্চিত করলেই প্রকৃত উন্নয়ন সম্ভব-সিলেটে নাগরিক সংলাপে বক্তারা সিলেট গোলাপগঞ্জে মোটরসাইকেলের সংঘর্ষে নিহত ২ মহানগর খেলাফত মজলিসের বিজয় মিছিল-সমাবেশ অনুষ্ঠিত তারেক রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন উপলক্ষ্যে সিলেটে যুবদলের আনন্দ মিছিল জাতীয় নাগরিক পার্টির সিলেট মহানগর আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা সাজা ভোগ শেষে তামাবিল দিয়ে দেশে ফিরলেন নারীসহ ১৭ বাংলাদেশি মহান বিজয় দিবসে সিলেট ষ্টেশন ক্লাবের বিভিন্ন কর্মসূচী পালন

ওসমান হাদিকে বাঁচানো গেল না

রিপোর্টার নামঃ
  • বৃহস্পতিবার, ১৮ ডিসেম্বর, ২০২৫
  • ৩ বার পড়া হয়েছে

অনুসন্ধান ডেস্ক ::: ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান হাদি মারা গেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) সিঙ্গাপুরের একটি হাসপাতালে তিনি শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন।

 

সিঙ্গাপুরে ওসমান হাদির চিকিৎসা দেখভালের সঙ্গে যুক্ত থাকা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা বৃহস্পতিবার রাত ১০টার দিকে গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

রাত পৌনে ১০টায় ওসমান হাদির অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টেও মৃত্যুর তথ্য জানানো হয়েছে।

পোস্টটিতে লেখা হয়, ‘ভারতীয় আধিপত্যবাদের মোকাবিলায় মহান বিপ্লবী ওসমান হাদিকে আল্লাহ শহীদ হিসেবে কবুল করেছেন।’

ঢাকা–৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদি নির্বাচন করার জন্য প্রচার চালাচ্ছিলেন। গত শুক্রবার দুপুরে পুরানা পল্টনের বক্স কালভার্ট সড়কে তাঁকে গুলি করে দুর্বৃত্তরা।

মাথায় গুলিবিদ্ধ হাদিকে গুরুতর আহত অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে সেখান থেকে নেওয়া হয় এভারকেয়ার হাসপাতালে।

গত সোমবার দুপুরে উন্নত চিকিৎসার জন্য ওসমান হাদিকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে সিঙ্গাপুরে নেওয়া হয়। তাঁর সঙ্গে তাঁর ভাই ছাড়াও বাংলাদেশি চিকিৎসক ও নার্সরা গিয়েছিলেন।

ওসমান হাদির ওপর গুলিবর্ষণকারী হিসেবে ফয়সাল করিম মাসুদ নামে একজনকে চিহ্নিত করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। তাঁর সহযোগী আলমগীর শেখ মোটরসাইকেলের চালক ছিলেন বলে তথ্য পেয়েছে পুলিশ ও র‍্যাব। এই দুজন অবৈধভাবে সীমান্ত পাড়ি দিয়ে ভারতে পালিয়ে গেছেন বলে তদন্তসংশ্লিষ্ট কয়েকটি সূত্র জানিয়েছে।

ওসমান হাদির ওপর হামলার ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৪ জনকে আটক ও গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ ও র‍্যাব। তাঁদের মধ্যে ফয়সালের বাবা মো. হুমায়ুন কবির (৭০) ও মা মোসা. হাসি বেগম (৬০), স্ত্রী সাহেদা পারভিন সামিয়া ও শ্যালক ওয়াহিদ আহমেদ সিপু রয়েছেন।

ফয়সালের বাবা–মা ছাড়া বাকিরা হলেন মো. নুরুজ্জামান নোমানী ওরফে উজ্জ্বল, মো. কবির, আব্দুল হান্নান, মো. হিরন, মো. রাজ্জাক, ফয়সালের বান্ধবী মারিয়া আক্তার এবং হালুয়াঘাট সীমান্তে মানব পাচারকারী হিসেবে পরিচিত সিমিরন দিও ও সঞ্জয় চিসিম।

ওসমান হাদিকে দিনে-দুপরে গুলি করে হত্যাচেষ্টার এই ঘটনার পরপরই দেশে ব্যাপক উদ্বেগ তৈরি হয়। বিএনপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ঘটনাটিকে নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র হিসেবে উল্লেখ করে। অনেকেই আশঙ্কা প্রকাশ করেন, নির্বাচনের পথে গুপ্ত হামলা, নাশকতা বাড়তে পারে।

গুলিবিদ্ধ হওয়ার এক মাস আগেই হত্যার হুমকি পাওয়ার কথা প্রকাশ্যে জানিয়েছিলেন শরিফ ওসমান হাদি। গত নভেম্বরে নিজের ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে তিনি বলেছিলেন, দেশি-বিদেশি অন্তত ৩০টি নম্বর থেকে তাঁকে ফোন ও মেসেজ পাঠিয়ে হত্যার হুমকি দেওয়া হয়েছে। ওই পোস্টে তিনি লেখেন, আওয়ামী লীগের ‘খুনি’ সমর্থকেরা তাঁকে সার্বক্ষণিক নজরদারিতে রাখছে। তবে জীবননাশের আশঙ্কা সত্ত্বেও ‘ইনসাফের লড়াই’ থেকে পিছিয়ে যাবেন না।

আরো সংবাদ পড়ুন
© All rights reserved © 2021 Anushondhan News
Developed by Host for Domain