ক্রীড়া ডেস্ক নিউজ :: গত বছর সিনিয়র সাফ জিতে ইতিহাস রচনা করে বাংলাদেশের মেয়েরা। এবার ঘরের মাটিতে ছোটদের (অনূর্ধ্ব-২০) মিশন শুরু। সাবিনা খাতুন-কৃষ্ণা রানীদের অর্জনই শামসুন্নাহার-রূপনা চাকমাদের অনুপ্রেরণা। সেই লক্ষ্যে শনিবার প্রথম দিনেই মাঠে নামছে বাংলাদেশ দল। প্রতিপক্ষ হিমালয়ের দেশ নেপাল। কমলাপুরের বীরশ্রেষ্ঠ শহিদ সিপাহি মোস্তফা কামাল স্টেডিয়ামে ম্যাচটি শুরু হবে সন্ধ্যা ৭টায়। এর আগে বিকেল ৩টায় উদ্বোধনী ম্যাচে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন ভারতের মুখোমুখি হবে ভুটান।
বৃহস্পতিবার বাফুফে ভবনে ম্যাচ-পূর্ববতী সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশের কোচ গোলাম রব্বানী ছোটন বলেন, মেয়েরা প্রতিনিয়ত উন্নতি করছে। প্রতিটা টুর্নামেন্টে তাদের পারফরম্যান্স দেখা হয়। দুই মাস ওরা ক্লাবেই ছিল। এর পর থেকে ক্যাম্পে কঠোর অনুশীলন শুরু করেছে। আশা করছি, সবার প্রত্যাশা পূরণ করার জন্য মেয়েরা সর্বশক্তি দিয়ে খেলবে। গতবার ঢাকা আসরের চেয়ে মেয়েরা আরও ভালো খেলবে বলে আমার বিশ্বাস।
আগামী বছরে উজবেকিস্তানে বসবে এএফসি বয়সভিত্তিক অনূর্ধ্ব-২০ এশিয়ান কাপ। এর আগে বাছাই পর্ব পেরুতে হবে লাল-সবুজের প্রতিনিধিদের। সে জন্য সাফের দল থেকে বাছাই করে শক্তিশালী স্কোয়াড গড়তে চান ছোটন। বলেন, এটা (সাফ) আমাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ টুর্নামেন্ট। আগামীতে এএফসি অ-২০ টুর্নামেন্ট। আশা করছি নিজেদের সেরা পারফরম্যান্স দিয়ে মেয়েরা নিজেদের অবস্থান শক্ত করতে চাইবে।
গত বছর বয়সভিত্তিক সাফের দুটি আসর খেলেছে এই দলের বেশ কয়েকজন। তাদের মধ্যে আছেন সোহাগী কিছকু, উন্নতি খাতুন, আফিদা খন্দকার ও স্বপ্না রানী। সতীর্থদের এই অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে ঘরের মাঠে সাফের শিরোপা জিততে চান অধিনায়ক শামসুন্নাহার জুনিয়র। তিনি বলেন, অনেক দিন ধরেই আমরা একসঙ্গে আছি। এ দলটা অনূর্ধ্ব-১৫ ও জামশেদপুরে অনূর্ধ্ব-১৮ প্রতিযোগিতা খেলেছে একসঙ্গে। সে অভিজ্ঞতা এখানে কাজে লাগাতে হবে।
আজ নেপালের বিপক্ষে ম্যাচ প্রসঙ্গে কোচ ছোট বলেন, নেপাল অবশ্যই ভালো দল। আগে সাফ বলতে আমরা বুঝতাম নেপাল-ভারত। তবে এখন আমরাও ভালো করছি। ২০১৭ সাল থেকে সাফ বয়সভিত্তিক আসর শুরু করেছে। অ-১৫ দিয়ে বয়সভিত্তিক সাফ শুরু হয়। সেই আসরে আমরা চ্যাম্পিয়ন হয়েছিলাম। যতগুলো টুর্নামেন্টে খেলেছি এর সবটিতেই আমরা ফাইনালে উঠেছি। আমাদের এই ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে হবে।
নেপাল দলের তিনজন খেলোয়াড় রয়েছে যারা সিনিয়র সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ খেলেছে। এই অভিজ্ঞতার কারণে নিজেদের একটু এগিয়ে রাখলেন নেপালের প্রধান কোচ ইয়াম প্রসাদ গুরাং। তিনি বলেন, আমাদের প্রস্তুতি ভালো। এটা অবশ্যই চ্যালেঞ্জ। স্বাগতিক বাংলাদেশ সম্পর্কে আমাদের ভালো ধারণা আছে। ভারতীয় দলও শক্তিশালী। আমি মনে করি সবার জন্যই সমান সুযোগ রয়েছে। যারা আগে গোল করতে পারবে, তাদের বেশি সুযোগ থাকবে। আমাদের তিন খেলোয়াড় প্রীতি রায়, দীপা সাই ও আমিষা কারকি সিনিয়র সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ খেলেছে। এটা খুবই কাজে দেবে। ট্রফি জিততেই বাংলাদেশে এসেছে জানিয়েছেন নেপাল অধিনায়ক প্রীতি রায়, আমরা লড়াই করেই জিততে চাই। বাংলাদেশের বিপক্ষে ম্যাচটাকে আমি প্রতিশোধ বলতে চাই না। আমরা এখানে এসেছি লড়াই করে ট্রফি জিততে।