অনুসন্ধান নিউজ :: বাংলাদেশী বৌদ্ধদের সর্বপ্রাচীন বৌদ্ধ যুব সংগঠন ১৯৬৭ সালে প্রতিষ্ঠিত,স্বাধীনতার স্থপতি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বীকৃতি প্রাপ্ত, এর প্রথম স্বীকৃতি প্রাপ্ত সংগঠন বাংলাদেশ বৌদ্ধ যুব পরিষদ-সিলেট অঞ্চল’র পক্ষ থেকে অমর একুশে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে সিলেটে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ভাষা শহীদের প্রতি ফুল দিয়ে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করেন।
মঙ্গলবার ২১ ফেব্রুয়ারি সকাল সাড়ে আটটায় সিলেট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সালাম, বরকত, রফিক জব্বার, শফিউরসহ নাম নাজানা অনেক শহীদদের মহান ত্যাগের বিনিময়ে এই ভাষা, যে ভাষায় আমরা কথা বলতে শিখেছি, রক্তস্নাত আন্দোলনের অর্জিত মাতৃভাষা বাংলা সে ভাষা শহীদের শ্রদ্ধা নিবেদন করেন বাংলাদেশ বৌদ্ধ যুব পরিষদ সিলেট অঞ্চল এর সভাপতি উৎফল বড়ুয়া, সাংগঠনিক সম্পাদক দিলু বড়ুয়া, অর্থ সম্পাদক পলাশ বড়ুয়া, সদস্য তমাল বড়ুয়া, শেলু বড়ুয়া, সীমান্ত বড়ুয়া জয়, সেতু বড়ুয়া মুক্তা।
১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারির এই দিনে রফিক, সালাম, বরকত, সফিউর, জব্বাররা মাতৃভাষা বাংলার মর্যাদা রাখতে গিয়ে বুকের রক্ত ঢেলে দিয়েছিলেন। তাদের তাজা রক্তের বিনিময়ে শৃঙ্খলমুক্ত হয়েছিল মায়ের ভাষা বাংলা। আজও তাদের ভোলেনি বাংলার মানুষ। ভাষা শহিদদের শ্রদ্ধা জানাতে সিলেট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সর্বস্তরের মানুষের ঢল নামে। প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তর, রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও পেশাজীবী সংগঠন ফুল হাতে শ্রদ্ধা নিবেদন করে।
রাত ১২টা ১ মিনিটে অর্থাৎ অমর একুশে ফেব্রুয়ারির প্রথম প্রহরে শহিদ মিনার বাস্তবায়ন পরিষদের মাধ্যমে শুরু হয় শ্রদ্ধা নিবেদন কার্যক্রম। সিলেট জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার ও মহানগর মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড, সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়রের শ্রদ্ধা নিবেদনের পর সিলেট বিভাগীয় কমিশনার, সিলেট রেঞ্জ ডিআইজি, মহানগর পুলিশ কমিশনার, জেলা প্রশাসন, পুলিশ সুপার, সহকারী ভারতীয় হাই কমিশনার, জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগ, বিএনপি জেলা, মহানগর, জেলা পরিষদ, সদর উপজেলা, সিলেট জেলা প্রেসক্লাব, সিলেট প্রেসক্লাব, ইমজা, দৈনিক ইনফো বাংলা, সিলেট, সিলেট-চট্টগ্রাম ফ্রেন্ডশীপ ফাউন্ডেশন, বাংলাদেশ বৌদ্ধ যুব পরিষদ-সিলেট অঞ্চল, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন এবং বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে শহীদ বেদিতে ফুলেল শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।
এর আগেই নগরের চৌহাট্টা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার ও আশপাশের এলাকা লোকে লোকারণ্য হয়ে ওঠে। শহীদ মিনারমুখী জনতার স্রোত থাকলেও ছিল শৃঙ্খলা। বরাবরের ন্যায় শৃঙ্খলা রক্ষায় প্রশাসনকে বেগ পেতে হয়নি। জনতা ফুল হাতে লাইনে দাঁড়িয়ে একে একে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।