নিউজ ডেস্ক :: বিএনপি নেতাকর্মীদের দাবি, তারা মিরপুর থেকে অনেক কষ্ট করে সমাবেশের উদ্দেশে এসেছেন। বাসগুলোতে আসতে চাইলেও তাদের আনা হয়নি। হেঁটে এসেছেন। কিছু পথ সিএনজি করেও এসেছেন। বাসে উঠতে না দেয়াই হয়, তাহলে বাস কেন সড়কে চলবে?
পাবনা থেকে আসা রাজিব মিয়া নামের এক বিএনপিকর্মী বলেন, পাবনা থেকে ঢাকায় আসার পথে আমাদের ৩০ জন কর্মী আটক হয়েছেন। আমরা যেন সমাবেশে আসতে না পারি সেজন্য পথে নানা প্রতিবন্ধকতা তৈরি করা হয়েছে।
মতিউর রহমান নামের আরেক বিএনপিকর্মী বলেন, আমি এখানে আসতে গিয়ে ৫ জায়গায় বাধার সম্মুখীন হয়েছি। আমি কোন দেশে বসবাস করি যেখানে আমার মোবাইল নিয়ে কল লিস্ট চেক করে, আমার হোয়াটসঅ্যাপ চেক করে। তাহলে আমার প্রাইভেসিটা কোথায়?
তিনি বলেন, বাস ভাঙচুর আওয়ামী লীগের কর্মীরা এসে করেছে। বিএনপির ওপর দায় চাপানোর জন্যই তারা এসব করেছে।
এদিকে রাজধানীর মগবাজারে বৈশাখী পরিবহনের বাসে হামলায় নাসির (২৭) নামে এক যুবক আহত হয়েছেন। অন্যদিকে হাইকোর্ট মোড়ে ছুরিকাঘাতে সুজন (২৫) নামে এক যুবলীগ কর্মী আহত হয়েছেন। শনিবার দুপুর পৌনে ১২টার দিকে আহত অবস্থায় তাদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেয়া হয়।
আহত সুজনকে হাসপাতালে নিয়ে আসা মো. সোহেল বলেন, বনানী এলাকা আওয়ামী লীগের মিছিলে যেতে আমরা হাইকোর্ট মোড়ে আসি। সেখান থেকে ব্যানার নিয়ে বায়তুল মোকাররমে যাওয়ার সময় বিএনপি কর্মীরা হামলা চালায়। হাতে ব্যানার থাকায় তারা হকিস্টিক দিয়ে সুজনের মাথায় ও বুকে ছুরি দিয়ে আঘাত করে। এতে সুজন গুরুতর আহত হয়। পরে তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে এসেছি। বর্তমানে জরুরি বিভাগে তার চিকিৎসা চলছে।
অন্যদিকে, নাসিরকে হাসপাতালে নিয়ে আসা মুক্তার হোসেন বলেন, আমরা বৈশাখী পরিবহনের বাসে করে যাচ্ছিলাম। মগবাজার মোড়ে এলে অতর্কিতভাবে বাসে হামলা চালানো হয় এবং নাসিরকে মারধর করে। পরে তাকে উদ্ধার করে আহত অবস্থায় ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে আসি। তবে কে বা কারা হামলা চালিয়েছে সে বিষয়টি বলতে পারছি না।
ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক বাচ্চু মিয়া বলেন, মগবাজার ও হাইকোর্ট মোড় থেকে আহত হয়ে দুজন আমাদের এখানে এসেছে। জরুরি বিভাগে তাদের চিকিৎসা চলছে। তবে আহত দুজনের সঙ্গে আসা ব্যক্তিদের কথা বিভিন্ন ধরনের মনে হচ্ছে। আমাদের কাছে মনে হয়েছে, তারা সঠিক তথ্য দিচ্ছেন না।