নিউজ ডেস্ক :: বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি হওয়া ঘূর্ণিঝড়র নাম দেওয়া হয়েছে ‘মিধিলি’। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে ভোর রাত থেকে সিলেটে অঝোর ধারায় বর্ষণ হচ্ছে। সাপ্তাহিক ছুটির দিন হওয়ায় অফিস-আদালতে বন্ধ থাকলেও ভোগান্তিতে পড়েছে সাধারণ শ্রমজীবী মানুষ।
ঘূর্ণিঝড়টির প্রভাবে সিলেট বিভাগে ভারী (৪৪-৮৮ মিমি) থেকে অতি ভারী (>৮৯ মিমি) বর্ষণ হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।
শুক্রবার সকালে আবহাওয়ার ৯ নম্বর বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়। বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ঘূর্ণিঝড় মিধিলির অগ্রবর্তী অংশের প্রভাবে ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৫৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৬২ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ৮৮ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর খুবই উত্তাল রয়েছে।
মিধিলি নামে এই ঘূর্ণিঝড়টি শুক্রবার সন্ধ্যা থেকে মধ্যরাত নাগাদ বাংলাদেশ অতিক্রম করবে। যার গতিবেগ থাকতে পারে ঘণ্টায় ৬০ থেকে ৭০ কিলোমিটার। গভীর নিম্নচাপের প্রভাবে সাগর উত্তাল হয়ে উঠেছে। বর্তমানে এটি আরও শক্তি সঞ্চয় করছে।
ঘুর্ণিঝড়ের প্রভাবে সিলেটজুড়ে বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত থেকে বৃষ্টি হচ্ছে। অবশ্য দুপুর থেকে বৃষ্টি না হলেও আকাশ মেঘলা ছিল। ঘূর্ণিঝড়টির প্রভাবে সিলেট বিভাগে বিকাল থেকে ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণ হতে পারে।
নিম্নচাপের প্রভাবে এই বৃষ্টি সারাদেশে শীত নামিয়ে আনতে কিছুটা সহায়ক ভূমিকা রাখবে বলে মনে করছেন আবহাওয়াবিদরা।
নিম্নচাপ কেটে যাওয়ার পর কয়েকদিনের ব্যবধানে আবারও বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা আছে। এ মাসের শেষ দিকে আবার একটি নিম্নচাপ হতে পারে বলেও জানা গেছে।