নিউজ ডেস্ক :: সিলেটের জকিগঞ্জের একটি ভোটকেন্দ্রের সামনে থেকে সিল দেয়া ব্যালটসহ আটক করা হয়েছে দুই রিটার্নিং কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (৬ জানুয়ারি) জকিগঞ্জ থানার উপ পরিদর্শক আব্দুল হাকিম বাদী হয়ে স্থানীয় সরকার ইউনিয়ন পরিষদ আইনে এই মামলাটি দায়ের করেন বলে জানান সিলেটের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (গণমাধ্যম) লুৎফুর রহমান।
দুপুরে তিনি বলেন, মামলায় হলেন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আরিফুল হক ও উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা সাদমান সাকিবকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। আজ তাদের আদালতে তোলা হবে।
বুধবার বিকেলে সিল মারা ব্যালটসহ এই দুজনকে আটক করেছিলো পুলিশ।
বুধবার অনুষ্ঠিত জকিগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে রিটার্নিং কর্মকর্তার দায়িত্বে ছিলেন আরিফুল ও সাদমান।
আটকের পর পুলিশ জানায়, তারা সিলমারা ব্যালট গাড়িতে করে নিয়ে উপজেলার কাজলসার ইউনিয়নের বিভিন্ন কেন্দ্রে পৌঁছে দিচ্ছিলেন।
ভোট শেষ হওয়ার ঠিক আগ মুহূর্তে সিলেটের জেলা প্রশাসক (ডিসি) এম কাজী এমদাদুল ইসলাম ও পুলিশ সুপার (এসপি) ফরিদ উদ্দিন ওই দুইজনকে আটক করেন।
এ ঘটনায় কাজলসার ইউনিয়নের ভোট স্থগিত করা হয়।
জানা গেছে, বুধবার জকিগঞ্জের আরও কয়েকটি ইউনিয়নের সঙ্গে কাজলসার ও বারহাল ইউপিতেও ভোটগ্রহণ হয়। নির্বাচনী দায়িত্বে থাকা আরিফুল হক ও সাদমান সাকিবের সন্দেহজনক আচরণ এবং কেন্দ্রগুলোতে ব্যালট পেপার কম হওয়ায় গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে বিকেলে জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের উপস্থিতিতে উপজেলার মরিচা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে থেকে তাদেরকে আটক করা হয়। পরে তাদের গাড়িতে তল্লাশি করে সিল মারা ১ হাজার ২০০টি ব্যালট পেপার ও সিলবিহীন ৪৫৬টি ব্যালট পেপার জব্দ করা হয়।
পুলিশের এক কর্মকর্তা জানান, কৃষি কর্মকর্তা আরিফুল হকের গাড়ি তল্লাশি করে এক লাখ সাড়ে ২১ হাজার টাকা, একটি ফেন্সিডিল, ইয়াবা সেবনের সরঞ্জামও জব্দ করা হয়েছে।
নাম প্রকাশে একাধিক সূত্র জানিয়েছে, নৌকা প্রতীকের প্রার্থী ও বর্তমান চেয়ারম্যান জুলকারনাইন লস্করকে ‘পাস করিয়ে দিতে’ আরিফুল হক ও সাদমান সাকিব ১৪ লাখ টাকার চুক্তি করেছিলেন। এছাড়া ইউপি সদস্য ও সংরক্ষিত সদস্য পদে প্রার্থীদের পাস করাতে আরও ২ লাখ টাকার চুক্তি করেন তারা।