নিউজ ডেস্ক :: প্রথম সেশনের পুরোটা জুড়েই দাপট দেখালেন বাংলাদেশের বোলাররা। পাঁচ উইকেট তুলে নেওয়া গেলো শ্রীলঙ্কার। কিন্তু এরপরই ম্যাচে ফিরে এসেছে লঙ্কানরা। কামিন্দু মেন্ডিসের সঙ্গে ধনঞ্জয়া ডি সিলভার জুটিতে বিপদ সামলে উঠেছে তারা।
শুক্রবার সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে দুই ম্যাচ টেস্ট সিরিজের প্রথমটিতে মাঠে নেমেছে বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কা। প্রথম দিনের দ্বিতীয় সেশনশেষে ৫ উইকেট হারিয়ে ২১৭ রান করেছে লঙ্কানরা।
শুক্রবার সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে শুরু হয়েছে দুই দলের দুই ম্যাচ সিরিজের প্রথম টেস্ট। দ্বিতীয় সেশনের খেলা শেষে সফরকারীদের সংগ্রহ ৪৯ ওভারে ২১৭ রান।
মধ্যাহ্ন বিরতির পর ৯২ রান নিয়ে খেলতে নেমে আর কোনো উইকেট হারায়নি লঙ্কানরা। বলের সঙ্গে প্রায় পাল্লা দিয়ে তারা রান তুলছেন ক্রিজে থাকা দুই ব্যাটার। অধিনায়ক ধনঞ্জয়া আছেন ১০৮ বলে ৮৩ রানে। শরিফুলের বলে শূন্য রানে স্লিপে মাহমুদুল হাসান জয়ের হাতে জীবন পাওয়া জীবন পাওয়া কামিন্দু খেলছেন রানে ৯৯ বলে ৭৫ রানে। তাদের আক্রমণাত্মক ব্যাটিংয়ে হতাশা ক্রমেই বাড়ছে বাংলাদেশের।
দ্বিতীয় সেশনে খেলা হয়েছে ২৭ ওভার। শ্রীলঙ্কা যোগ করেছে ১২৫ রান। ধনঞ্জয়া ও কামিন্দু অবিচ্ছিন্ন পঞ্চম উইকেট জুটির রান ২০০ বলে ১৬০। এই সময়ে উইকেট তুলে নেওয়ার মতো কোনো সুযোগও তৈরি করতে পারেনি বাংলাদেশ।
১৬.২ ওভারের মধ্যে ব্যাটিং লাইনআপের প্রথম পাঁচজনকে হারায় লঙ্কানরা। টস জিতে টাইগার অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত বোলিং বেছে নেওয়ার পর বৃষ্টিভেজা কন্ডিশনে নতুন বলে দারুণ শুরু করেন দুই পেসার খালেদ ও শরিফুল। টপ অর্ডারের তিনজন— নিশান মাদুশকা, দিমুথ করুনারত্নে ও কুসল মেন্ডিসকে একাই ফেরান খালেদ। শরিফুলের শিকার হন দীনেশ চান্দিমাল। মাঝে অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউস রানআউট হন শান্তর সরাসরি থ্রোতে।
সেসময় ভীষণ চাপ সামলে দাঁড়িয়ে যান ধনঞ্জয়া ও কামিন্দু। প্রথম সেশনের শেষ ৩৬ বলে তারা আনেন ৩৫ রান। নিয়মিত আসতে থাকে বাউন্ডারি। দিনের শুরু থেকে বজায় রাখা নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে আলগা লাইন ও লেংথে বল করে উইকেটে তাদের থিতু হওয়াটা সহজ করে দেন বাংলাদেশের পেসাররা। অভিষিক্ত তরুণ পেসার নাহিদ রানার ওপর দিয়ে ঝড়টা যায় সবচেয়ে বেশি। শ্রীলঙ্কার বাউন্ডারির স্রোত জারি থাকে চা বিরতি পর্যন্ত।
পেসাররা টানা ২৬ ওভার করার পর দ্বিতীয় সেশনে আক্রমণে আসেন বাঁহাতি স্পিনার তাইজুল ইসলাম। কয়েক ওভার পর অফ স্পিনার মেহেদী হাসান মিরাজের হাতেও বল ওঠে। তবে কেউই অস্বস্তিতে ফেলতে পারেননি ধনঞ্জয়া ও কামিন্দুকে।