উৎফল বড়ুয়া :: সমাজে সৃজনশীল এবং উদ্ভাবনী সক্ষমতা বাড়ানোর জন্য সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক শিক্ষার বিকাশে সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনের ভূমিকা অপরিসীম- বলছিলেন বাংলাদেশ বৌদ্ধ যুব পরিষদ ঢাকা অঞ্চল আয়োজিত শিশু-কিশোর সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি বাংলাদেশ বৌদ্ধ যুব পরিষদ- জাতীয় কমিটির চেয়ারম্যান বিশিষ্ট সংগঠক, ব্যবসায়ী চিন্ময় বড়ুয়া রিন্টু।
তিনি আরো বলেন, সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য থেকে সাহিত্যকে বিচ্ছিন্ন করে দেখানোর একটা চেষ্টা এখন সাম্প্রদায়িক মহলে আড়ম্বরের সাথে শুরু হয়েছে। এ প্রচেষ্টা এবং আড়ম্বরের সাথে সাহিত্য অথবা সংস্কৃতি চর্চার যে কোন সম্পর্ক নেই একথা পরিষ্কারভাবে বোঝা দরকার।
প্রত্যেক সংস্কৃতি ও সাহিত্যেরই একটা সামাজিক বুনিয়াদ থাকে যাকে অস্বীকার করে সংস্কৃতি বা সাহিত্য চর্চা করা অথবা তার সম্পর্কে কোন ধারণায় উপনীত হওয়া সম্ভব নয়। সাধারণভাবে স্বীকৃত হলেও কথাটি বর্তমান আলোচনা প্রসঙ্গে বিশেষভাবে স্মরণ রাখা প্রয়োজন। দ্বিতীয়তঃ স্মরণ রাখা প্রয়োজন যে সাহিত্য সংস্কৃতির বৃত্তের অন্তর্গত, তারই একটি অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ।
শুক্রবার ২৯শে মার্চ ঢাকা ধর্মরাজিক বৌদ্ধ মহাবিহারের বিশুদ্ধানন্দ-শুদ্ধানন্দ অডিটরিয়মে অনুষ্ঠানের শুভ উদ্বোধন করেন বিশিষ্ট কথাসাহিত্যিক, ২১শে পদক প্রাপ্ত লেখক সুব্রত বড়ুয়া, প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ বৌদ্ধ যুব পরিষদ জাতীয় কমিটির চেয়ারম্যান চিন্ময় বড়ুয়া রিন্টু, অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন পরিষদ- ঢাকা অঞ্চলের সভাপতি মানিক রতন চাকমা। বিচারক মন্ডলী সহ অনেক গন্যমান্য ব্যক্তবর্গ উপস্থিত ছিলেন। বিভিন্ন ইভেন্টে দুইশত পঞ্চাশের অধিক প্রতিযোগীর অংশগ্রহণে দিনব্যাপী অনুষ্ঠানমালার সূচনা পর্বে জাতীয় সঙ্গীত গেয়ে শুরু করা হয়। বাংলাদেশ বৌদ্ধ যুব পরিষদ ঢাকা অঞ্চলের পক্ষ থেকে সম্মানিত বিচারকমণ্ডলী ও প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী সবাইকে শুভেচ্ছা অভিনন্দন ও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন।