নিউজ ডেস্ক :: সিলেটে বন্যা পরিস্থিতির আরও উন্নতি হয়েছে। তবে বন্যার পানি নামছে খুব ধীরে। এছাড়া সিলেটে এখনো কুশিয়ারা নদীর একটি পয়েন্টে পানি রযেছে বিপৎসীমার উপরে। এদিকে, বন্যা পরিস্থিতি ধারাবাহিক উন্নতি থাকায় প্রতিদিনই আশ্রয়কেন্দ্র ছাড়ছেন লোকজন। জেলা প্রশাসনের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী- বুধবার দুপুর পর্যন্ত সিলেটে পৌনে ৮ লাখ মানুষ পানিবন্দী রয়েছেন।
জানা যায়, এ সময় পর্যন্ত সিলেটে ৭ লাখ ৮৪ হাজার ২৫০ জন বন্যা কবলিত ছিলেন। এর মধ্যে মহানগরে আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা নেমে এসেছে ৩ শ’-তে। বর্তমানে মহানগরের ২টি ওয়ার্ড ও জেলার ১০৬টি ইউনিয়নে বন্যার পানি রয়েছে। বিভিন্ন আশ্রয়কেন্দ্রে আছেন ১২ হাজার ৪২৩ জন।
আগের দিন ছিলেন সাড়ে ১২ হাজার ৬৭৯ জন। এসব আশ্রয়কেন্দ্রে সরকারি-বেসরকারিভাবে ত্রাণ বিতরণ অব্যাহত আছে। পৌঁছানো হচ্ছে বিশুদ্ধ পানি ও ওষুধপত্র।
পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) সিলেট কার্যালয় সূত্র বুধবার বিকাল ৬টায় জানায়, সুরমা নদীর পানি সব পয়েন্টে বিপৎসীমার নিচে নেমেছে। তবে কুশিয়ার নদীর পানি আমলশীদ পয়েন্টে এখনো বিপৎসীমার ৯১ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
সিলেট জেলা প্রশাসক শেখ রাসেল হাসান জানান, সিলেটে সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির বেশ উন্নতি হয়েছে। মানুষজন আশ্রয়কেন্দ্র ছেড়ে ফিরছেন বাসা-বাড়িতে। বন্যার্তদের মাঝে ত্রাণ ও ওষুধ বিতরণ কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে।
এদিকে, সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হওয়ায় ঘরে ফেরা মানুষজন পোহাচ্ছেন নানা ভোগান্তি। বন্যায় বিধ্বস্ত ঘর মেরামত, বিশুদ্ধ পানির সংকট ও রাস্তা-ঘাট ভেঙে যাওয়ায় চলাচলের কষ্টে আছেন তারা। এছাড়া বন্যা কবলিত এলাকাগুলোতে পর্যাপ্ত ত্রাণের সংকটও রয়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।