নিউজ ডেস্ক :: ১২ থেকে ১৭ বছর বয়সের স্কুল শিক্ষার্থীদের টিকাদান কর্মসূচি আগামী ১ নভেম্বর থেকে শুরু হবে বলে জানিয়েছেন স্বাাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। বৃহস্পতিবার (২৮ অক্টোবর) মন্ত্রিপরিষদ বৈঠক শেষে মন্ত্রী সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
জাহিদ মালেক বলেন, ঢাকায় ১২ থেকে ১৭ বছর বয়সী স্কুল শিক্ষার্থীদের করোনার ভ্যাকসিন প্রয়োগের কার্যক্রম শুরু হবে। প্রথম ধাপে ১২ কেন্দ্রে এই ভ্যাকসিন দেওয়া হবে। বর্তমান সক্ষমতা অনুযায়ী প্রতিদিন ৪০ হাজার শিক্ষার্থীকে ভ্যাকসিন দেওয়া হবে।
তিনি আরো বলেন, বুধবার ৫০ লাখ ভ্যাকসিন এসেছে, হাতে আরো দুইকোটি আছে। এসব দিয়ে আগামী ১ নভেম্বর থেকে শিক্ষার্থীদের ভ্যাকসিন দেওয়ার কার্যক্রম শুরু করা যাবে। একটু সময় নিয়ে সারাদেশেই শিক্ষার্থীদের ভ্যাকসিন দেওয়া হবে।
আগামী নভেম্বরের আরও ৩৫ লাখ ফাইজারের ভ্যাকসিন আসবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ বিষয়ক মন্ত্রী জাহিদ মালেক।
এর আগে বুধবার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের তৃতীয় গবেষণা দিবসে বৈজ্ঞানিক অধিবেশন ও অ্যাওয়ার্ড প্রদান অনুষ্ঠানে শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি বলেন, ‘স্কুলশিক্ষার্থীদের টিকা দিতে রেজিস্ট্রেশন চলছে। আশা করছি সপ্তাহখানেকের মধ্যে স্কুলশিক্ষার্থীদের গণটিকা কার্যক্রম শুরু হবে।’
পাঠদান কার্যক্রম স্বাভাবিক করতে ১২ থেকে ১৭ বছর বয়সী শিক্ষার্থীদের করোনাভাইরাস প্রতিরোধী টিকার আওতায় আনতে উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এসব শিক্ষার্থীকে গণটিকা দেয়া শুরুর কথা ছিল ৩০ অক্টোবর।
স্কুলশিক্ষার্থীদের মাঝে এরই মধ্যে পরীক্ষামূলক করোনা প্রতিরোধী টিকা দেয়া শুরু হয়েছে। এর অংশ হিসেবে গত ১৪ অক্টোবর মানিকগঞ্জে ১০০ শিক্ষার্থীকে টিকা দেয়া হয়। বড় পরিসরে স্কুলশিক্ষার্থীদের টিকার আওতায় আনতে পরিকল্পনা চূড়ান্ত করেছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর। পরিকল্পনার অংশ হিসেবে প্রতিদিন ১২ থেকে ১৭ বছর বয়সী ৪০ হাজার শিক্ষার্থীকে টিকা দেয়া হবে।