অনুসন্ধান নিউজ :: উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদের পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলনরত শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবি) দুই শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। বুধবার রাতে উপাচার্যের বাসভবনের সামনে বিক্ষোভ কর্মসূচির সময় এই দুই শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়ে।
অসুস্থ শিক্ষার্থীরা হলেন-বাংলা বিভাগের মোজাম্মেল হক এবং সমাজকর্ম বিভাগের দীপান্বিতা বৃষ্টি। অসুস্থ শিক্ষার্থীদের মাউন্ট এডোরা হাসপাতালে ভর্তি করা হয় এবং বর্তমানে সেখানে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
জানা যায়, উপাচার্যের পদত্যাগে দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করতে থাকে। দিনভর মিছিল ও বিক্ষোভ কর্মসূচি করার মোজাম্মেল জ্ঞান হারিয়ে ফেলে। পরে ওই শিক্ষার্থীকে অ্যাম্বুলেন্সে করে মাউন্ট এডোরা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। অন্যদিকে রাত ১১টার দিকে দীপান্বিতা নামের আরেক শিক্ষার্থীরা অসুস্থ হয়ে পড়ে। তাকেও অ্যাম্বুলেন্সে করে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়।
এদিকে রাত পৌনে নয়টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা কথা বলতে গেলে শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন প্রতিবাদী স্লোগান দিতে থাকেন। এরপরে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা শিক্ষকদের উদ্দেশ্যে বলেন, এই পর্যন্ত আপনাদের কাছে আমাদের একটাই কথা; যে আমাদের দাবির সঙ্গে আপনারা একমত কি না। এসময় আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা “ইয়েস ওর নো” বলে স্লোগান দিতে থাকে। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. আনোয়ারুল ইসলাম শিক্ষার্থীদের কথায় কোনো উত্তর দেননি। এসময় কোষাধ্যক্ষ কিছু একটা বলতে গেলে শিক্ষার্থীরা “চাষাভুষার সন্তান, আমরা সবাই সাস্টিয়ান”, “যেই ভিসি গুলি মারে সেই ভিসি চাই না” বিভিন্ন প্রতিবাদী স্লোগান দিতে থাকেন।
এই অবস্থার একপর্যায়ে কিছু শিক্ষক জোড় হাত করে শিক্ষার্থীদের অনুরোধ করলে শিক্ষার্থীরাও জোড় হাত করে শিক্ষকদের অনুরোধ করতে থাকেন। এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. তুলসী কুমার দাস, সিন্ডিকেট সদস্য অধ্যাপক ড. মস্তাবুর রহমান, সিনিয়র অধ্যাপক ড. আখতারুল ইসলাম, অধ্যাপক ড. সাজেদুল করিম, অধ্যাপক ড. কবির হোসেন, অধ্যাপক আমেনা পারভীন, অধ্যাপক ড. রাশেদ তালুকদার, অধ্যাপক ড. হিমাদ্রি শেখর রায়সহ প্রায় এক শতাধিক শিক্ষক উপস্থিত ছিলেন। পরে শিক্ষকরা রাত সাড়ে ১১টার দিকে চলে যায়।
জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার রাতে হলের প্রভোস্টের বিরুদ্ধে অসদাচরণের অভিযোগ এনে তিন দফা দাবিতে আন্দোলন শুরু হয়। পরবর্তী গত রোববার পুলিশ শিক্ষার্থীদের উপর হামলা চালালে শিক্ষার্থীরা উপাচার্যের পদত্যাগ দাবি করে আন্দোলন করছে। এদিকে বুধবার পৌনে তিনটা থেকে ২৪ জন শিক্ষার্থীরা উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে আমরণ অনশন করছে।