নিউজ ডেস্ক :: প্রকৃতির অপরূপ রূপে সেজেছে ত্রিশালের শাপলার বিল। চেচুয়া বিল নামে পরিচিত এ বিলে শাপলা ফুলের রক্তিম আভার হাতছানিতে মুগ্ধ হতে হয় যে কাউকে।। বিলের পানিতে মাথা উঁচু করে সৌন্দর্য ছড়াচ্ছে লাল শাপলা। মাঝেমধ্যে দেখা যায় সাদা আর বেগুনি শাপলা ফুল। এরই সঙ্গে ভাসমান কচু ফুলের সাদা আভা সৌন্দর্যকে বাড়িয়ে দিয়েছে বহুগুণ। ভ্রমণপিপাসু মানুষ এই সৌন্দর্য দেখতে ভিড় জমাচ্ছে এখানে।
বিশাল এই বিলের যে অংশে ফুটেছে শাপলা, সেখানে যেতে বিড়ম্বনাও আছে পর্যটকদের। ভালো কোনো যাতায়াত ব্যবস্থা না থাকায় অনেকটা পথ পায়ে হেঁটে যেতে হয় কাঙ্ক্ষিত সেই শাপলার দেখা পেতে। শাপলা ফুলের অধিক সমাহার কাছ থেকে বা ছুঁয়ে দেখতে নামতে হয় পানিতে, ভিজাতে হয় জামা। তবু ভ্রমণপিপাসুদের বিন্দুমাত্র পিছুটান নেই প্রকৃতির এই অপরূপ সৌন্দর্য দেখতে। উপজেলা সদর থেকে প্রায় ৪ কিলোমিটারের পথ হবে এই বিলের দূরত্ব।
উপজেলার রামপুর ইউনিয়নের বিশাল বিল এটি। সারা দেশের মানুষ এ বিলকে চিনেছে একটি অলৌকিক ঘটনার গুজবকে কেন্দ্র করে। এক দিন রাত পেরিয়ে সকাল হতেই কিছু লোক দেখতে পায় সেখানে থাকা জমাটবাঁধা কচু হঠাৎ সরে গিয়ে অনেকটা জায়গা ফাঁকা হয়েছে। এটাকে অলৌকিক ভেবে কয়েকজন এখানে গোসল করে ও এর পানি খেয়ে রোগ থেকে মুক্ত হয়েছে বলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে সারা দেশের হাজার হাজার মানুষ এই কাদামাখা পথ পেরিয়ে কাদামাখা পানিতে গোসল, গড়াগড়ি ও কাদাযুক্ত পানি সংগ্রহ করতে ভিড় করতে থাকে। এমন গুজবও ছড়ানো হয়েছিল, হাজারো মুশকিলের একমাত্র আসান এই চেচুয়া বিল। বিলের পানিতে এক ডুবেই সেরে যাবে যেকোনো রোগ।
গুজবে হাজারো মানুষের তথাকথিত তীর্থস্থানে পরিণত হয়েছিল বিলটি। সৌন্দর্য রক্ষায় ইতোমধ্যে বিলে ফুল তোলা নিষিদ্ধ করা হয়েছে। ঘুরতে আসা মানুষকেও সহযোগিতা করছে এলাকাবাসী।