নিউজ ডেস্ক :: কৃষ্ণা রানী সরকারের গোলে নেপালের বিপক্ষে ২ গোলে এগিয়ে গেছে বাংলাদেশ। সোমবার নেপালের দশরথ স্টেডিয়ামে সাফ নারী চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে ৪০তম মিনিটে দারুণ এক শটে গোলকিপারকে পরাস্তা করেন কৃষ্ণা।
সকাল থেকে বৃষ্টি। মাঠের অবস্থা ছিল খুবই খারাপ। বৃষ্টিতে কাদা জমে গেছে। এমন দিনে ফাইনালে নেপালের বিপক্ষে মাঠে নেমেছে বাংলাদেশ দল। কাঠমাণ্ডুর দশরথ স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ম্যাচের প্রথম মিনিটেই আক্রমণে যায় বাংলাদেশ। বক্সের বাইরে থেকে মারিয়া মান্ডার দুর্দান্ত শট ফেরান নেপালের গোলকিপার। স্বাগতিক নেপালেও কম নয়।
খেলার ৯ মিনিটেও তারাও আক্রমণে আসে দলটি। বাংলাদেশের গোলরক্ষক রূপনা চাকমার দৃহতায় বেঁচে যায় বাংলাদেশে। আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণে শুরু থেকেই জমে ওঠে ম্যাচ। খেলার ১০ম মিনিটে সিরাত জাহান স্বপ্নাকে উঠিয়ে শামসুন্নাহার জুনিয়রকে মাঠে নামায় কোচ গোলাম রব্বানী ছোটন। যদিও ম্যাচের আগের দিন চোট নিয়ে ফাইনালে খেলার ইচ্ছা প্রোষণ করেছিলেন স্বপ্না। তার আশা পূরণ করেন কোচ। মাঠে নেমে চমক দেন শামসুন্নাহার জুনিয়র। খেলার ১৩ মিনিটে এগিয়ে দেন বাংলাদেশকে (১-০)। কর্নার পাশ থেকে মনিকার চাকমার বাড়ানো বলে কোনাকোনি শটে গোল করেন এই ফরোয়ার্ড।
খেলার ৩৪ মিনিটে আক্রমণে আসে নেপাল। বাংলাদেশের কয়েক দুই ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে আঘাত হানে বাংলাদেশের রক্ষণ ভাগে। কিন্তু গোলরক্ষক দৃহ বেঁচে যায় বাংলাদেশ।
খেলার স্বপ্নের মতো শুরু। খেলার ৪১ মিনিটে বাংলাদেশের ব্যবধান দ্বিগুণ করেন কৃষ্ণা রানী সরকার (২-০)। নেপালের দুই ডিফেন্ডারকে পরাস্ত করে গোল করেন এই ফরোয়ার্ড।
নারী সাফের ষষ্ঠ আসরে দ্বিতীয়বার ফাইনাল খেলছে বাংলাদেশ। এর আগে ২০১৬ সালে শিলিগুড়ি সাফের ফাইনালে ভারতের কাছে হারতে হয় ৩-১ ব্যবধানে। আজ শিরোপা জয়ের চোয়ালবদ্ধ প্রতিজ্ঞা নিয়েই মাঠে নেমেছেন সাবিনা খাতুনেরা। শিরোপা নিয়েই তারা দেশে ফিরতে চান। যারা জিতবে তারাই প্রথমবারের মতো চ্যাম্পিয়ন হবে নারী সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে।
পরিসংখ্যান অবশ্য নেপালের পক্ষে। আগের তিন ম্যাচের তিনটিতেই বাংলাদেশকে হারিয়েছে তারা। চলতি সাফে দুর্দান্ত ফর্মে রয়েছে বাংলাদেশ। চার ম্যাচে ২০টি গোল দিয়ে ফাইনালে উঠেছে সাবিনারা। বিপরীতে হজম করেনি একটি গোলও। আজ কার জয় হয়- সেটাই এখন দেখার বিষয়।