নিউজ ডেস্ক :: পাইকারি পর্যায়ে বিদ্যুতের আগের দামই বহাল রেখেছে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি)। আজ বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টায় অনলাইনের অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেন বিইআরসির চেয়ারম্যান মো. আব্দুল জলিল।
তিনি বলেন, ‘পাইকারি পর্যায়ে বিদ্যুতের পূর্বের দাম বহাল থাকবে। অর্থাৎ কোনো দাম বাড়েনি। আর পাইকারি পর্যায়ে দাম না বাড়ার কারণে গ্রাহক পর্যায়েও আপাতত দাম বাড়ানোর সম্ভাবনা নেই।’
এ সময় সংবাদ সম্মেলনে বিইআরসির সদস্য মকবুল ই ইলাহি, সদস্য বজলুর রহমান, সদস্য আবু ফারুক, সদস্য মো. কামরুজ্জামান, সচিব খলিলুর রহমানসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে মো. আব্দুল জলিল বলেন, ‘পিডিবি গত ১২ জানুয়ারি বিদ্যুতের পাইকারি দাম পুনঃনির্ধারণের প্রস্তাব জমা দেয়। এরপর ১৮ মে তাদের প্রস্তাবের ওপর গণশুনানি করা হয়েছে। সব পর্যালোচনা করে আজ সকালে সভা করে কমিশন চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়। তাদের প্রস্তাবের সব বিবেচনা করে দাম পুনঃনির্ধারণ করা হলো না। আগের দামই থাকবে।’
তিনি বলেন, ‘৯০ কার্যদিবসের মধ্যে সিদ্ধান্ত জানানোর কথা ছিল। আমরা এর মধ্যে অনেকবার বসেছি। আমরা বিচার-বিশ্লেষণ করেছি। আজকে শেষদিনে আমরা ঘোষণা করলাম।’
সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে বিদ্যুতের দাম না বাড়ানোর এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিইআরসি। পরবর্তী আদেশ না দেওয়া পর্যন্ত এ সিদ্ধান্ত বলবৎ থাকবে বলেও জানান বিইআরসির চেয়ারম্যান।
এর আগে গত ১৮ মে পিডিবির বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর প্রস্তাবের ওপর গণশুনানি করেছে কমিশন। নিয়ম অনুযায়ী, গণশুনানির পর ৯০ কার্যদিবসের মধ্যে সিদ্ধান্ত নেওয়ার নিয়ম রয়েছে। গণশুনানির ৯০ কার্যদিবসের সময়সীমা শেষ হবে আগামী ১৪ অক্টোবর। তাই আজ বৃহস্পতিবার ঘোষণা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় তারা।
গত ১৮ মে বিদ্যুতের পাইকারি মূল্য বাড়াতে অনুষ্ঠিত গণশুনানিতে প্রায় ৬৬ শতাংশ দাম বাড়ানোর আবেদন করে পিডিবি। সে সময় ভর্তুকি ছাড়া ৫৮ শতাংশ দাম বাড়ানো এবং ভর্তুকি দিলে দাম না বাড়ানোর সুপারিশ করে বিইআরসি গঠিত কারিগরি মূল্যায়ন কমিটি।
বিইআরসি সর্বশেষ ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে বিদ্যুতের পাইকারি দর ইউনিট প্রতি ৫ টাকা ১৭ পয়সা নির্ধারণ করে।