তাহিরপুর প্রতিনিধি: সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার ঐতিহ্যবাহী বাদাঘাট বাজারে দিন দুপুরে প্রকাশ্যে ভারতীয় অবৈধ নাসির বিড়ি আইনশৃংখলা বাহিনীর কিছু অসৎ সদস্যের যোগসাজসে প্রকাশ্যে দেদারছে বিক্রি করছে একটি প্রভাবশালী চক্র। শুক্রবার বিকালে বাদাঘাট বাজার ঘুরে দেখা যায়, পান পট্টিতে এক ব্যক্তি প্রকাশ্যে ভারতীয় নাসির বিড়ি বিক্রি করছেন। প্রতিটি বিড়ির প্যাকেটের মুল্য ৪০ টাকা দরে বিক্রি করা হচ্ছে। তবে আশাপাশের কোন ব্যবসায়ী মুখ খুলতে নারাজ। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যবসায়ী জানান, আইনশৃংখলা বাহিনীর কিছু অসৎ সদস্যদের মাসিক দেড় লাখ টাকা দিয়ে একটি চক্র প্রকাশ্যে বাদাঘাট বাজারে নাসির বিক্রি করছেন। তারা ছাড়া অন্যকেউ বাজারে নাসির বিড়ি বিক্রি করতে দিচ্ছেন না। কেউ বিক্রি করতে চাইলে র্যাব কিংবা পুলিশ কিংবা বিজিবি’র সদস্যদের দিয়ে গ্রেফতার করিয়ে জেল হাজতে পাঠিয়ে দিচ্ছেন। তাই কোন ব্যবসায়ী প্রকাশ্যে মুখ খুলতে রাজি হয়নি।
স্থানীয় এক আওয়ামীলীগ নেতা জানান, বাদাঘাট বাজারে যারা প্রকাশ্যে ভারতীয় নাসির বিড়ি করছেন তারা মদ গাজাঁ ও ইয়াবাও বিক্রি করে থাকেন। তাদের বিরুদ্ধে আইনশৃংখলা বাহিনী কোন ধরনের পদক্ষেপ গ্রহন করে না। শুনেছি মাসে মাসে দেড় লাখ টাকা প্রশাসনকে দিয়ে প্রকাশ্যে বাজারে একাই বিক্রি করছেন।
অনুসন্ধানে জানা যায়, তাহিরপুর উপজেলার উত্তর বড়দল ইউনিয়নের বারহাল গ্রামের মনা মিয়ার পুত্র আব্দুল আলী, মৃত ফজলু মিয়ার পুত্র আব্দুল আওয়াল, মৃত হোসেনের পুত্র বুলবুল মিয়া ও বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার ভাদেরটেক মনিপুরী হাটির চোরাকারবারী সামসুল ইসলাম এই সিন্ডিকেটের সাথে জড়িত।
স্থানীয় ব্যবসায়ীরা আরও জানান, এই সিন্ডিকেটের বাইরে কোন ব্যবসায়ী বাদাঘাট বাজারে নাসির বিড়ি বিক্রি করতে পারে না। এক চেটিয়া কারবার তাদেরই। অবৈধ ব্যবসা কেউ করার সুযোগ পাইলে অন্যদেরকেও সুযোগ দেয়া উচিৎ।
বাদাঘাট পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই জাহাঙ্গীর আলম জানান, বাদাঘাট বাজারে প্রকাশ্যে কেউ ভারতীয় নাসির বিড়ি বিক্রির সুযোগ নাই। কয়েকদিন পূর্বেও আমরা নাসির বিড়িসহ আটক করে জেল হাজতে পাঠিয়েছি। তবে এ ধরনের ব্যবসায় জড়িত থাকলে তাকে আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে।