শিরোনাম :
নারীর প্রতি সহিংসতার প্রতিবাদে সিলেট ন্যাশনাল হিউম্যান রাইটস্ ক্রাইম ওয়াচ এর মানববন্ধন Orphan in Action-এর এর উদ্যোগে ৭ নম্বর ওয়ার্ড জালালাবাদে ২২৫ পরিবারকে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ “এতিমদের সাথে “শান্তিগঞ্জ সমিতি সিলেট”এর ইফতার ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত “ রেণুপ্রভা-প্রিয়রঞ্জন ফাউন্ডেশনের বিশ্বশান্তি কামনায় মঙ্গলসূত্র পাঠ ও ধর্মসভা অনুষ্ঠিত সিলেট নগরীতে বন্ধু মহলের পক্ষ থেকে ইফতার বিতরণে- কয়েস লোদী সিলেটে সাধারণ মানুষের মাঝে ৭ টাকায় ইফতার বিতরণ রোজাদারদের মধ্যে মৌলা বক্স করিম বক্স লিমিটেডের ইফতার বিতরণ বিশ্বনাথের লামাকাজি ইউনিয়ন বিএনপির ইফতার ও দোয়া মাহফিল পবিত্র রমজান মাসে আমাদেরকে আত্মশুদ্ধিকরে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের চেষ্ঠা করতে হবে–রেজাউল করিম

শিশু আব্দুল্লাহ ছাড়া বেঁচে রইলো না কেউই

রিপোর্টার নামঃ
  • শনিবার, ২৩ অক্টোবর, ২০২১
  • ৩০৪ বার পড়া হয়েছে

নিউজ ডেস্ক :: মা-বাবা ও ভাইয়ের সঙ্গে শিশু আব্দুল্লাহও গিয়েছিল আত্মীয়বাড়ি বেড়াতে। দিনশেষে একই মোটরসাইকেল যোগে বাড়ি ফেরার পথে অরক্ষিত লেভেলক্রসিং পার হওয়ার সময় ট্রেনে কাটা পড়ে মারা যায় মা-বাবা ও ছোট ভাই। এ সময় প্রাণে বেঁচে যায় শিশু আব্দুল্লাহ।
শুক্রবার (২২ অক্টোবর) রাতে এমনই এক মর্মান্তিক ঘটনা ঘটেছে টাঙ্গাইল সদর উপজেলার হাতিলা এলাকায়। এতে একই পরিবারে শিশু আব্দুল্লাহ ছাড়া বেঁচে নেই কেউ। ট্রেনে কাটা পড়ে প্রাণ হারায় শিশু আব্দুল্লাহ বাবা আজগর আলী, মা সারামণি ও ছোট ভাই আব্দুর রহমান আইয়ান।

দুর্ঘটনায় আব্দুল্লাহ আহত হওয়ায় প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। তারা টাঙ্গাইল সদর উপজেলার করোটিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এলাকায় বসবাস করতেন। তবে তাদের গ্রামের বাড়ি জেলার বাসাইল উপজেলার ময়থা গ্রামে।

শনিবার সকালে নিহত আজগর আলীর গ্রামের বাড়ি বাসাইল উপজেলার ময়থা গ্রামে তিনজনের দাফন সম্পন্ন করেন স্বজনরা। এ সময় স্বজনদের আহাজারিতে সেখানকার পরিবেশ ভারী হয়ে ওঠে।

নিহতের স্বজনরা জানায়, আজগর আলী একজন প্রবাসী। তিনি বাড়িতে আসার পর পরিবার নিয়ে মোটরসাইকেল যোগে নানার বাড়িতে তার দুই শিশুসহ স্ত্রীকে নিয়ে বেড়াতে যান। সারাদিন ঘুরে ফিরে সন্ধ্যার দিকে বাড়ি ফেরার পথে ঢাকা-উত্তরবঙ্গ ও দক্ষিণাঞ্চল রেললাইনের টাঙ্গাইল সদর উপজেলার হাতিলা অরক্ষিত লেভেলক্রসিং পার হওয়ার সময় মোটরসাইকেল হঠাৎ করে বন্ধ হয়ে যায়।

এ সময় লেভেলক্রসিংয়ের আশপাশ বন জঙ্গলে ঢেকে যাওয়ায় ট্রেন চলাচল দেখা যায় না। এতে ট্রেনে কাটা পড়ে ঘটনাস্থলে আজগর আলীর স্ত্রী সারামনি ও ছোট ছেলে আব্দুর রহমান আইয়ান নিহত হয়। এতে গুরুতর আহত হয় আজগর ও বড় ছেলে আব্দুল্লাহ।

পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করে। এতে শিশু আব্দুল্লাহকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হলেও আজগর আলীকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় প্রেরণ করা হয়। পরে ঢাকায় যাওয়ার পথে তারও মৃত্যু হয়।

আজগর আলীর উকিল শ্বশুর আশরাফ আলী বলেন, ট্রেন দুর্ঘটনায় একই পরিবারের চারজনের মধ্যে তিনজনই মারা গেছেন। বেঁচে রয়েছে শুধু শিশু আব্দুল্লাহ। শনিবার সকালে তিনজনের মরদেহ তাদের গ্রামের বাড়িতে দাফন করা হয়েছে। এখন শিশু আব্দুল্লাহ তার দাদা-দাদির কাছে রয়েছে।

আরো সংবাদ পড়ুন
© All rights reserved © 2021 Anushondhan News
Developed by Host for Domain