নিউজ ডেস্ক :: লক্ষ্মীপুরে মোটরসাইকেলে গ্রামের বাড়ি যাচ্ছিল সানজিদা আক্তার ও ফামিদা নামে দুই স্কুলছাত্রী। পথিমধ্যে তারা মোটরসাইকেল থেকে ছিটকে পড়ে গেলে পেছন দিক থেকে আসা দ্রুতগতির একটি কাভার্ডভ্যান তাদের চাপা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই তাদের মৃত্যু হয়। আজ শনিবার সকাল ১০টার দিকে লক্ষ্মীপুর-রামগঞ্জ সড়কের সদর উপজেলার পালেরহাট এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। তাৎক্ষণিকভাবে উত্তেজিত জনতা সড়ক অবরোধ করে রাখেন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পৌঁছে অবরোধ তুলে দিয়ে যান চলাচল স্বাভাবিক করে।
নিহত ফাহমিদা জেলার রায়পুর উপজেলার কেরোয়া ইউনিয়নের আলমগীর হোসেনের মেয়ে ও ঢাকার সেগুনবাগিচা বেগম রহিমা হাই স্কুলের ৯ম শ্রেণির ছাত্রী এবং সানজিদা একই এলাকার আরিফ হোসেনের মেয়ে ও লক্ষ্মীপুর গার্লস স্কুলের ছাত্রী। দুজন সম্পর্কে মামাতো-ফুফাতো বোন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আরিফুর রহমান তার পরিবার নিয়ে লক্ষ্মীপুর পৌর শহরে ভাড়া বাসায় থাকেন। তার মেয়ে সানজিদা ও ভাগনি ফাহমিদাকে নিয়ে মোটরসাইকেলযোগে তিনি কেরোয়া গ্রামের বাড়িতে যাচ্ছিলেন। পথিমধ্যে ঘটনাস্থল পৌঁছলে মোটরসাইকেলটি একটি অটোরিকশাকে সাইড দিতে গেলে তারা দুজন মোটরসাইকেল থেকে পড়ে যায়। এ সময় রামগঞ্জ থেকে আসা দ্রুতগতির একটি কাভার্ডভ্যান তাদেরকে চাপা দিয়ে চলে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই তাদের মৃত্যু হয়। ঘটনার পর উত্তেজিত জনতা কাভার্ডভ্যানটিকে আটক করে। পরে প্রতিবাদে আধাঘণ্টা সড়ক অবরোধ করে স্থানীয়রা।
লক্ষ্মীপুর মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) ফারুক হোসেন জানান, পরিস্থিতি এখন শান্ত রয়েছে। কাভার্ডভ্যানটিকে আটক করা হয়েছে। কোনো অভিযোগ না থাকায় আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে মরদেহ দাফনের জন্য অনুমতি দেওয়া হয়েছে।