নিউজ ডেস্ক :: গত দুটি বছর মহামারি করোনার জন্য পবিত্র রমজানে মসজিদে উপস্থিতি নিয়ে ছিলো সরকারি বিধিনিষেধ। ইচ্ছে থাকা সত্ত্বেও স্বাস্থ্য ঝুঁকি বিবেচনায় এবং জরুরি নির্দেশনা মানতে গিয়ে অনেকে যেতে পারেননি মসজিদে।
তবে করোনার সংক্রমণ পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হওয়ায় চলতি বছরের ২২ ফেব্রুয়ারি থেকে উঠে যায় বিধিনিষেধ, স্বাভাবিক হয়ে যায় সবকিছু। দুই বছর পর এবারই স্বাভাবিক পরিস্থিতিতে এলো সিয়াম সাধনার মাস। তাই এবার সিলেটের মুসল্লিরা বেশ খুশি।
শনিবার (২ এপ্রিল) রাতে প্রথম তারাবির নামাজ শেষে কয়েকজন মুসল্লি বলেন, গত দুটি বছর পবিত্র রমজানে নিজেদের কেন আটকা আটকা মনে হচ্ছিলো। তবে আল্লাহর রহমতে এবার রোজায় নেই করোনার দাপট। তাই প্রতিটি মসজিদে প্রথম তারাবিতে ছিলো মুসল্লিদের উপচেপড়া ভিড়। ছিলে আলাদা আবেগ-অনুভূতি। এভাবে পুরোটা রমজান কাটিয়ে দিতে পারলেন অনেক স্বস্তি ও শান্তি পাওয়া যাবে।
এবার ২৯ দিনে শেষ হয়েছে হিজরি শাবান মাস। শনিবার (২৯ শাবান) সূর্যাস্তের পরই দেশের আকাশে পবিত্র রমজানের চাঁদ দেখা যায়, যার মধ্য দিয়ে শুরু হয় মুসলমানদের সিয়াম সাধনার মাস পবিত্র রমজান।
সিলেটের ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা রমজানের চাঁদ দেখে তারাবির নামাজ আদায় ও প্রথম রোজার সেহরি করেছেন। আজ রোববার (৩ এপ্রিল) প্রথম রোজা। সিলেটে আজ ইফতারের সময় ৬টা ১৩ মিনিটে।
ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের কাছে রমজান সংযম, আত্মশুদ্ধি এবং ত্যাগের মাস। রমজান রহমত (আল্লাহর অনুগ্রহ), মাগফিরাত (ক্ষমা) ও নাজাত (দোজখের আগুন থেকে মুক্তি) এ তিন অংশে বিভক্ত। এ মাসে সুবহে সাদিক থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত পানাহার, স্বামী-স্ত্রীর সহবাস ও যে কোনো ধরনের পাপ কাজ থেকে বিরত থাকার মাধ্যমে রোজা পালন করেন মুসলমানরা।
রমজানের শেষ অংশে রয়েছে হাজার মাসের এবাদতের চেয়েও উত্তম লাইলাতুল কদরের রাত। ইসলাম ধর্ম অনুযায়ী, রমজান মাসে প্রতিটি নেক আমলের সওয়াব আল্লাহ পাক ৭০ গুণ বাড়িয়ে দেন।
তাই চলমান রমজানের প্রতিটি দিন-রাত সকল প্রকার পাপাচার থেকে মুক্ত থেকে মুসলমানদেরকে আল্লাহর ইবাদত-বন্দেগিতে মশগুল থাকার আহ্বান জানিয়েছেন আলেম-উলামারা।