নিউজ ডেস্ক :: টানা ভারি বর্ষণ ও মেঘালয় থেকে নেমে আসা অব্যাহত পাহাড়ি ঢলে সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজারে মাত্র তিন সপ্তাহের ব্যবধানে ফের দেখা দিয়েছে অকাল বন্যা। প্লাবিত হয়ে পড়েছে অর্ধশতাধিক গ্রাম। উপজেলা সদরের বিভিন্ন বাসাবাড়ি ও সড়কের বিভিন্ন স্থানে হাঁটু পানিসহ অধিকাংশ গ্রামিণ কাঁচা-পাকাসহ প্রধান সড়কগুলো ক্রমশ তলিয়ে যাওয়ায় উপজেলা ও জেলা সদরের সাথে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে বিভিন্ন এলাকার সড়ক যোগাযোগ। উপচে পড়া ঢেউয়ের আঘাতে হাওড়পাড় ও ব্রিটিশ ট্রামরোড সংলগ্ন কাঁচা ও আধাপাকা গৃহগুলি রয়েছে ঝুঁকিপূর্ণ। যে কোনো মূহুর্তে ধসে যেতে পারে।
গবাদি পশুপক্ষি ও বানভাসি পরিবার পরিজনের আহাজারিতে ক্রমশ ভারি হচ্ছে আকাশ-বাতাশ। বিনিদ্র রাতদিন আতঙ্কে কাটছে সুরমা, বগুলা, লক্ষীপুর, নরসিংপুর, বাংলাবাজার, মান্নারগাঁও ও দোয়ারা সদরসহ বিভিন্ন ইউনিয়নের বানবাসি লাখো মানুষের। কেননা প্রথম দফা আগ্রাসী বন্যার পানি এখনো নামেনি নিম্নাঞ্চল থেকে। আবারো বিপাকে পড়েছেন কৃষক, গবাদি পশু ও মৎস্য খামারের মালিকরা।
এদিকে গত বন্যায় স্যানিটেশন ব্যবস্থা ভেঙে পড়ায় পেটের পীড়া, চর্মরোগসহ পানিবাহিত বিভিন্ন রোগের উপসর্গ এখনো নির্মুল হয়নি।
নবাগত উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফারজানা প্রিয়াংকা, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান দেওয়ান আল তানভীর আশরাফী চৌধুরী বাবু, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা গোলাম আম্বিয়াসহ প্রশাসনিক বিভিন্ন কর্মকর্তা ও রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দরা গত দু’দিন ধরে বন্যা উপদ্রুত এলাকা পরিদর্শণ করেন। এসময় বানভাসিদের মধ্যে বিভিন্ন ত্রাণসামগ্রীও বিতরণ করেন তারা।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফারজানা প্রিয়াংকা বলেন, বানভাসিদের জন্য ১৪টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। অপরদিকে, পানি উন্নয়ন বোর্ডের সাথে যোগাযোগ ছাড়াও বন্যা পরিস্থিতি মোকাবেলায় আমাদের সার্বক্ষণিক মনিটরিংসহ কন্ট্রোলরুম খোলা আছে। উপজেলা প্রশাসনসহ আমাদের স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরাও এ বিষয়ে তৎপর রয়েছেন। পর্যাপ্ত ত্রাণসামগ্রীও মজুত রয়েছে বলেও তিনি জানান।