অনুসন্ধান নিউজ :: জ্বালানী তেলের মূল্য বাড়ার পর সিলেটের পরিবহন খাতে বিশৃঙ্খলা দেখা দিয়েছে। কমে গেছে বাস চলাচল। যাত্রীদের অভিযোগ, অনেক পরিবহন সংস্থা মূল ভাড়ার চেয়ে একশো থেকে দেড়শ টাকা বাড়তি রাখছে।
শনিবার সিলেটের কদমতলী কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালে গিয়ে দেখা যায়, অন্যদিনের তুলনায় টার্মিনাল থেকে বাস ছাড়ছে অনেক কম। টার্মিনালে বাস সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে আছে। বাস কম চলাচল করায় দুর্ভোগে পরেছেন যাত্রীরা। গাড়ি না পেয়ে অনেককে টার্মিনালে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে।
দুপুরে শ্রীমঙ্গল থেকে বাসে করে সিলেটে আসা শফি আহমদ বলেন, আমি সপ্তাহে দুদিন শ্রীমঙ্গল থেকে সিলেটে যাওয়া আসা করি। এই সড়কের ভাড়া কালকেও ছিল ১৩০ টাকা। আজ কোন ঘোষণা ছাড়াই ১৮০ থেকে ২০০ টাকা নেয়া হচ্ছে।
তিনি নিজেও ১৮০ টাকা ভাড়া দিয়ে সিলেট এসেছেন বলে জানান শাকিল।
টার্মিনালে গাড়ি দাঁড় করিয়ে রেখে বসে থাকা পরিবহন শ্রমিক সবুজ মিয়া বলেন, আমি সিলেট জকিগঞ্জ সড়কে বাস চালাই। ডিজেলের দাম যে পরিমাণ বাড়ছে তাতে প্রতি ট্রিপে জ্বালানী খরচ ২ হাজার টাকা বেড়ে যাবে। অথচ একটি ট্রিপে খরচ শেষে ২ হাজার টাকা লাভ করা সম্ভব হয় না।
তিনি বলেন, এখন গাড়ি চালালে লাভের বদলে লোকসানই হবে। মালিক পক্ষ কেন লোকসান দিয়ে গাড়ি চালাবে।
জ্বালানীর দাম কমানো না হলে কঠোর কর্মসূচী আসতে পারে জানিয়ে সিলেট জেলা সড়ক পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি মইনুল ইসলাম বলেন, এতো বাড়তি দামে তেল কিনে গাড়ি চালিয়ে মালিক শ্রমিক কেউই টিকতে পারবে না।
তিনি বলেন, রাতে মালিক শ্রমিক নেতারা বৈঠকে বসবেন। ওই বৈঠকেই পরবর্তী করণীয় নির্ধারণ করা হবে। এতে ধর্মঘটসহ কঠোর কর্মসূচির ঘোষণা আসতে পারে।
তবে এখন পর্যন্ত কোন ভাড়া বাড়ানো হয়নি জানিয়ে সিলেট জেলা বাস মালিক সমিতির সহ-সভাপতি আবুল কালাম বলেন, আমরা এখন ভাড়া বাড়াইনি। এরকম সিদ্ধান্তও হয়নি। কি করবো কিছু বুঝতে পারছি না। রাতে আমরা সভা করে সিদ্ধান্ত নেবো।
ভাড়া সমন্বয় না করলে ক্ষতির মুখে পড়বেন জানিয়ে তিনি বলেন, লোকসানের শঙ্কায় আজ অনেক বাস চলছে না।অনেকে বাস কাউন্টারও বন্ধ করে দিয়েছে। এতো বাড়তি দাম দিয়ে জ্বালানী কিনে গাড়ি চালানো সম্ভব না।